প্রকাশিত: ২০/০৩/২০১৮ ৯:১২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১৪ এএম

ঢাকা: প্রেম স্বর্গীয়, প্রেমের কোন সীমারেখা নেই, নেই কোন সীমান্ত। আর তা্ইতো সূদুর ব্রাজিলের মেয়ে ছুটে এসেছে বাংলাদেশে, বাংলাদেশি পু্ত্রের বধূ হতে।

তিনি ব্রাজিলিয়ান তরুলী দিয়াগো সিলভা, বাংলাদেশি কাতার প্রবাসী হাবিবের প্রেমের টানে নোয়াখালীতে চলে এসেছেন। ইসলাম গ্রহণ করে বিয়েও করেছেন হাবিবকে।

হাবিব নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের চরজব্বর গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে।

হাবিবের স্বজনরা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে হাবিবের সঙ্গে ব্রাজিলিয়ান তরুণী দিয়াগোর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

প্রেমিকা সিলভা ব্রাজিল যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় হাবিবকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরেই মাঝে কাতারের ভিসা পান হাবিব। পরে তিনি কাতারে চলে যান। দু’জনের সম্পর্কও চলতে থাকে প্রবাহমান নদীর ঢেউয়ের মতন ছলছল ধারায়। শরতের স্নিগ্ধ সাদা কাশফুলের ছোয়ায় যেন ছেয়ে যায় দু’জনের মন।

এক সুখের স্বপ্ন যেন তাদের দেশ সীমারেখাকে আর বাধা হয়ে দাড়াতে দেয়না। আর সেই স্বপ্নকে সত্যিতে পরিনত করতে তারা দুরত্বকে জয় করে একপর্যায়ে দু’জনই বিয়ে করার জন্য মনস্থির করেন।

তারা সিন্ধান্ত নেন বাংলাদেশে এসে দুজনেই বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ, গত মাসে কাতার থেকে বাংলাদেশে আসেন হাবিব। এরপর গত শুক্রবার ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে আসেন দিয়াগো।

রবিবার ব্রাজিলিয়ান এই তরুণী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নাম পরিবর্তন করে রাখেন ফাতেমা।

এরপর নোয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ফাতেমার সঙ্গে হাবিবের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর কোর্টে উপস্থিত সকলকে মিষ্টিমুখ করানো হয়।

হাবিব বলেন, ফাতেমা ও আমি খুবই খুশি যে আমাদের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক সফল হয়েছে। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

হাবিরের মামা নুরনবী জানান, এ ঘটনায় তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনসহ সবাই অবাক হলেও তারা অত্যন্ত খুশি হয়েই নববধূকে বরণ করে নিয়েছেন।

হাবিব ও ফাতেমার প্রেমের এই গল্প আর একবার মনে করিয়ে দেয় লাইলীমজনু, শিরি-ফরহাদদের কথা। প্রেম আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর, এত সজীব, এত মধুর।

পাঠকের মতামত