প্রকাশিত: ০৮/০৩/২০২২ ১০:৪০ এএম

বাংলাদেশের দার্জিলিং বলা হয় নীলগিরিকে। সেখানকার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নীলগিড়ি। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা দার্জিলিংখ্যাত এই পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ২২০০ ফুট। এর গোড়া থেকে চূড়া পর্যন্ত সবুজের চাদরে মোড়া।

উঁচু এই পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জুম চাষ করেন পাহাড়িরা। নীলগিরি যাওয়ার পথে আরও অনেকগুলো আকর্ষণীয় রিসোর্ট ও পর্যটনকেন্দ্র আছে। এ পথে পার হতে হয় শৈল প্রপাত ঝর্ণা, মিলনছড়ি ভিউ পয়েন্ট, চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র ও সাইরু হিল রিসোর্ট পার হয়ে যেতে হয়।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

আপনি রিজার্ভ গাড়ি না নিলে এসব স্পটগুলো ঘুরে যেতে পারেন। অথবা গাড়ি ঠিক করার সময় আগে থেকেই বলে নিবেন। খুব ভালো হয় যদি আগে সরাসরি নীলগিরি চলে যান। আর যদি বিকেলে নীলগিরিতে সময় কাটাতে চান তাহলে যাওয়ার পথেই সব আকর্ষণীয় রিসোর্ট ও পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে তারপর নীলগিরি যেতে পারেন।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

নীলগিরি যেতে হলে প্রথমেই দেশের যে কোনো স্থান থেকে বান্দরবান যেতে হবে। বাসে যেতে চাইলে এক্ষেত্রে নন এসির ভাড়া ৫০০-৫৫০ ও এসি বাসের ভাড়া ৯০০-১৬০০ টাকা। বাসে করে গেলে বান্দরবান পৌঁছাতে ৭-১০ ঘণ্টা লাগবে।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

যদিও ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবানের কোনো ট্রেন নেই। তাই ঢাকা থেকে প্রথমে ট্রেনে করে চট্রগ্রাম যেতে হবে। সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে শ্রেণীভেদে ৩০০-১২০০ টাকা করে। এরপর সেখান থেকে পৌঁছাতে হবে বান্দরবান।

বান্দরবান থেকে নীলগিরি যাবেন কীভাবে?

বান্দরবন থেকে নীলগিরি পৌঁছানোর বেশ কয়েকটি মাধ্যম আছে। জিপ, মহেন্দ্র, সিএনজি, লোকাল বাস অথবা চান্দের গাড়ি দিয়ে যেতে পারেন নীলগিরিতে। পরিবার কিংবা বন্ধুরা সঙ্গে থাকলে রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে নিন। এতে নীলগিরি যাওয়ার পথের অন্যান্য জায়গায়ও ঘুরে দেখতে পারবেন।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

আর যদি একদিনেই নীলগিরি ঘুরে আসতে চান তাহলে জিপ নিতে পারেন। বিভিন্ন গাড়ি অনুযায়ী ৩০০০-৬০০০ টাকা ভাড়া নিতে পারবেন। এছাড়া চান্দের গাড়ি, সিএনজি, ছোট জিপ ইত্যাদি দিয়েও যেতে পারবেন। নীলগিরির মেঘের মেলা দেখতে চাইলে খুব সকালে বেরিয়ে পড়ুন।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

আর কম খরচে যেতে চাইলে লোকাল বাসেও যেতে পারেন। তবে এতে সময় অনেক বেশি লাগবে। এক্ষেত্রে ভাড়া হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। তবে পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে গেলে লোকাল বাসে না যাওয়াই ভালো।

নীলগিরি যাওয়ার পথে সেনা চেকপোস্টে পর্যটকদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হয় নিরাপত্তারা খাতিরে। সাধারণত বিকেল ৫টার পর থেকে নীলগিরির পথে আর কোনো গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাই সময়ের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্রে যেতে জনপ্রতি টিকিট মূল্য বাবদ রাখা হয় ৫০ টাকা ও গাড়ির জন্য রাখা হয় পার্কিং বাবদ ৩০০-৪০০ টাকা।

নীলগিরিতে কোথায় থাকবেন ও খাবেন?

বেশিরভাগ পর্যটকই বান্দরবান থেকে নীলগিরি ঘুরে একদিনেই ফিরে আসেন। বান্দরবানে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট আছে। যারা নীলগিরিতে থাকতে চান তারা চাইলে সেখানকার কটেজে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতে হবে।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

এই কটেজের বিভিন্ন রুমের ভাড়া পরবে ৫-১০ হাজার টাকা। তবে বিভিন্ন মৌসুমের উপর ভাড়া নির্ভর করে। তাই ঝামেলা এড়াতে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে দিন। তবে অফ সিজনে গেলে ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট পেতে পারেন।

প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিং’

নীলগিরি রিসোর্টে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট আছে। চাইলে এসব রেস্টুরেন্টেও খেতে পারেন, তবে আগে থেকে খাবার অর্ডার করে রাখতে হবে। এছাড়া বান্দরবানে ফিরেও খেতে পারেন। বান্দরবানে বেশ কিছু খাবারের হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে আছে।

পাঠকের মতামত