প্রকাশিত: ২১/০৭/২০১৭ ২:৫২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৩০ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে অবৈধ মাদক ব্যবসা। গত কয়েক বছরে বছরে ইয়াবার ব্যবসা বেড়েছে ৩০ গুণ। আর এই ধংসাত্মক ব্যবসার বড় সহায়ক খোদ প্রশসানেরই এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা। এমন দাবি করে আগামীর স্বার্থে সরষের ভেতরকার ভূত তাড়ানোর কথা বলছেন চিকিৎসক ও অপরাধ বিশ্লেষকরা। মাদক নির্মূলে প্রশাসন আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ দাবি করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে,এখনও অভাব রয়েছে জনবল ও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১১ সালে যেখানে ১১ লাখ পিস ইয়াবা আটক করা হয়েছিল, সেখানে ২০১৬ সালে আটক করা হয় প্রায় ৩ কোটি পিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যে পরিমান মাদকদ্রব্য আটক হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে ব্যবসা হয় তার দশগুণ। বাড়ছে গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিলের ব্যবসাও।

মাদকাসক্তির নিরাময়ের চিকিৎসক বলেন, যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা কোন কিছুর ধার ধারেন না। অপরাধ বিজ্ঞানীরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত এই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মূলত প্রশাসনেরই এক শ্রেণীর কর্তা ব্যক্তির হাতে। অবস্থার পরিবর্তনে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ তাদের।

অপরাধ বিজ্ঞানী বলেন, খুন রাহাজানি সহ সকল ধরনের অপরাধমূলক কাজে মাদকের সম্পর্ক রয়েছে। স্থানীয় এমপি থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন সবাই এর সঙ্গে জড়িত। তারা জড়িত না থাকলে এই ধরনের হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা চলে কি করে। সর্ষের মধ্যে ভুত থাকলে সেই ভুত কে তারাবে।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, মাদক নিয়ন্ত্রণে আগের চেয়ে তৎপর তারা। জড়িতদের আটকে নেয়া হচ্ছে নতুন কৌশল।

তারা বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভাল ট্রেনিং দেওয়া হছে। তারা আগের চেয়ে বেশি এই ব্যপারে সফল হচ্ছে।’

মাদক নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, সারাদেশে প্রতিদিন ২শ’ কোটির বেশি টাকার মাদক কেনাবেচা হয়। এসব মাদকদ্রব্য অবৈধভাবে আমদানিতে প্রতিবছর ১০ হাজার কোটির বেশি টাকা পাচার হয়। সচেতন নাগরিকরা বলছেন, প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপ ও সততাই পারে মাদকের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্তি দিতে।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...