প্রকাশিত: ১৯/০৭/২০১৯ ২:৫২ পিএম

আপাতত চোখে এই স্বল্পভাষী আল-আমিনের কথা শুনে মুগ্ধ হবে যে কেউ। তার দাবি এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে প্রথম হওয়ায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর তপন কুমার সরকার তাকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা চিঠির সূত্র ধরে রাজধানীর নিকুঞ্জে আল-আমিনের বাসায় যায় গণমাধ্যম কর্মীরা।

আল-আমিন তখন বলেন, বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর অনেক কষ্ট করে তার দাদা দাদি তাকে মানুষ করেছেন। তাদের সহযোগিতার কারণে দেশ সেরা ফল।

তিনি আরও বলেন, এইবার আমার পরিক্ষা অনেক ভালো হয়েছে। কেনো জানি আল্লাহ তালার অশেষ রহমত। পরিক্ষা খুবই ভালো হয়েছে। আমার আশা ছিলো না সারাদেশে প্রথম হবো। এটা আসলে আমার আশার তুলনায় অনেক বেশী। এটা আল্লাহ তাআলার রহমত আমার প্রতি। আমি সর্বমোট নাম্বার পেয়েছি ১২৯৪।

তার কথা বলার সময় সন্দেহ হলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে জানা যায়। বোর্ড থেকে এমন কাউকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি। আর চিঠিতে যার সই আছে তিনি সব কিছু শুনে অবাক।

এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার বলেন, এই রকম চিঠি কোন পরীক্ষার্থী কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানকে আমরা দেই নি। এটি সম্পূর্ণ একটি প্রতারক চক্র। এটা সম্পূর্ণ ফেক। এটা জালিয়াতি।

আল আমিন নিজেকে যে নটরডেম কলেজের পরিক্ষার্থী দাবী করছেন। সেই কলেজেও তার কোন অস্তিত্ব নেই।

এ ব্যাপারে নটরডেম কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. ফাদার লিওনার্ড শঙ্কর রোজারিও বলেন, আল-আমিনের রোল নাম্বার আমাদের কলেজের কারো সাথে মিলে না এটা ফেইক।

এদিকে আল-আমিনের এমন মিথ্যাচার লক্ষ্য মানুষের সহমর্মিতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করা। ২০১৭ সালে এইচএসসিতে দ্বিতীয় হয়েছে দাবি করেও আল-আমিন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছিল। তখন এই আল-আমিনের লেখাপড়ার দায়িত্বও নিয়েছিলেন অনেকে। তবে কেউ জানতেন না কারও খবর। এবারও নকল চিঠি দেখে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন অনেকেই।

প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণ হয়ে গেলে আরেকবার আল-আমিনের বাসায় গিয়ে কাউকে আর পাওয়া যায়নি। আর এমন প্রতারণার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিছেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

পাঠকের মতামত

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...