নিউজ ডেস্ক::
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও পরিবেশ রক্ষায় সক্ষমতা অর্জন বিষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ ধ্বংস-সহ স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে রোহিঙ্গাদের বসতি স্থাপন করে দেয়াসহ নানাভাবে পরিবেশ ধ্বংসে আর্ন্তজাতিক সংস্থাসমূহকে দায়ি করলেন কক্সবাজারের সাংবাদিকরা। ফলে ফসলের মাঠ, বনাঞ্চল, সামাজিক বনায়ন, বেড়িবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতভিটা, এমনকি শ্রম ধ্বংসের কারণও হয়ে থাকে। একারণে স্থানীয় লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৬ জুলাই) একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মূখ্য আলোচক ছিলেন ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি (আইইউবি) এর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কোঅর্ডিনেটর ভূগোলবিদ সরদার শফিকুল আলম। কর্মশালায় আলোচনা করেন- ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ডক্টর খন্দকার আয়াজ রব্বানি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এর ট্রানজিশন এন্ড রিকভারী বিভাগের প্রধান সংযুক্তা সাহানী, আইওএম এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সাইফুল তারেক ফুয়াদ, ইন্ডেপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর হাসান মুহাম্মদ আসিফুল হক, গবেষক ফয়সাল বিন ইসলাম প্রমুখ।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম এর অর্থায়নে কর্মশালায় টিভি, অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া-সহ অর্ধশতাধিক গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করে। দিনব্যাপী কর্মশালায় রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া সামাজিক পরিবেশ কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে উম্মুক্ত আলোচনা শেষে করণীয় ঠিক করা হয়।
রোহিঙ্গা আসায় পরিবেশ ও স্থানীয়দের মারাতœক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান-কক্সবাজারের কর্মরত সাংবাদিকেরা। রোহিঙ্গাদের কারণে মানবিক বিপর্যয়, স্বাস্থ্য ঝুকিতে মহামারি ধারণ, পরিবেশ ধ্বংস, বন্যপ্রাণীর আবাস ধ্বংস, জীববৈচিত্র ধ্বংস, পানির স্তর নেমে যাওয়া, পাহাড় কাটা, সামাজিক পরিবেশ বিনষ্ঠ, পানির উৎস ধ্বংস, ছরা,খাল বিল জলাবদ্ধতা, বজ্য ও পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটেছে, আইন শৃংখলা পরিস্থিতিঅবনতির আশংকা, স্থানীয় জনগোষ্ঠির উপর প্রভাব ও জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা, রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের বিয়ের আশংকা, দাতা সংস্থাগুলোর উপর প্রভাব, স্থানীয়দের শিক্ষার অবনতি, পর্যটন শিল্পের অবনতি ও খাদ্য সংকট-সহ নানা ধরণের সমস্যার কথা তুলে ধরছেন।
পাঠকের মতামত