প্রকাশিত: ০৩/১২/২০১৬ ৭:৪৮ এএম

এস এম রানা ও জাবেদ ইকবাল টেকনাফ (কক্সবাজার) থেকে  ::

মংডুর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদে চলছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তাণ্ডব। আর সীমান্তে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞে নেমেছে সে দেশের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)।

বুধবার দিবাগত রাতে নাফ নদে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুবাহী নৌকায় নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে তারা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ও ভয়ে নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়ে পানিতে ডুবে মারা গেছে কমপক্ষে ৪৩ জন। নৌকা থেকে লাফ দেওয়ার পর কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যাওয়া এক রোহিঙ্গা যুবক কালের কণ্ঠ’র কাছে এমন মর্মান্তিক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। সীমান্তের ওপার থেকেও এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

নাফ নদের ওপারের বাসিন্দা ও এপারে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিয়ানমারের মংডুতে সে দেশের সেনাবাহিনীর তাণ্ডব থেকে বাঁচতে হাজারো রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষ নাফ নদের ওপারে অবস্থান করছে। নদের উভয় তীরে থাকা দুই দেশের দালালরা অর্থের বিনিময়ে তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে। আর এপারে বিজিবির পাহারা নেই এমন স্থান দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়ে দালালচক্র অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।

ওপারের প্রাংপ্রো এলাকার বাসিন্দা এক নারী (নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হলো না) মোবাইল ফোনে কালের কণ্ঠকে জানান, বুধবার রাতে নাফ নদের মিয়ানমার অংশ থেকে একটি বড় নৌকা বোঝাই হয়ে লোকজন নদ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য রওনা হয়। নৌকাটি লক্ষ্য করে বিজিপি সদস্যরা উপর্যুপরি গুলি চালাতে থাকে। নদের ধারে বাড়ি হওয়ায় তিনি স্পষ্টই গুলির শব্দ শুনতে পান। আর গতকাল শুক্রবার তিনি নদের ওই অংশে সারি সারি লাশ ভাসতে দেখেন। তিনি ও স্থানীয় অন্য অনেকে গণনা করে ভাসমান অবস্থায় কমপক্ষে ৪৩টি লাশ পেয়েছেন। ওই নারী আরো জানান, বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিপি ৬৬ জনকে আটক করে মংডু শহরে নিয়ে গেছে বলে তিনি শুনতে পেয়েছেন।

বিজিপি যে নৌকাটিতে গুলি চালিয়েছে সেটিতেই ছিলেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ইমান হোসেন। তিনি মংডুর ওয়াবেক এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, বুধবার রাত ৮টায় নাফ নদের মিয়ানমার প্রান্ত থেকে একটি নৌকাযোগে অনেক শিশু, নারী ও পুরুষ বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুই ছেলে সলিম উল্লাহ (১৮) ও সালামত খানকে (১৪) নিয়ে তিনিও ওই নৌকায় ছিলেন। নৌকাটি সামনের দিকে আধকিলোমিটার এগোনোর পর হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলি ছুড়তে ছুড়তে নৌকাটির দিকে স্পিডবোট ছুটে আসতে থাকে। এ সময় নৌকার আরোহীদের অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি অন্ধকারের মধ্যেই দেখেন, গুলিবর্ষণকারীরা বিজিপির সদস্য। উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মুখে তাঁদের বহনকারী নৌকাটি আংশিক ডুবে গিয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় অনেকেই নাফ নদে লাফিয়ে পড়ে। আবার শিশুসহ কেউ কেউ নৌকায়ই রয়ে যায়। তিনিও নদে লাফ দেন। ওদিকে বিজিপি সদস্যরা কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে নৌকাটি তাদের সপডবোটের সঙ্গে বেঁধে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যায়।

নৌকাটি বিজিপি নিয়ে গেলেও যারা নদে লাফ দিয়েছিল তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা ইমাম হোসেন জানেন না। তবে তাঁকে উদ্ধার করেছে নাফ নদে মাছ ধরার একটি নৌকা। ওই নৌকার মাঝি রশিদ আহমদ তাঁকে টেকনাফের কেরুনতলী এলাকার একটি বাড়িতে পৌঁছে দেন। ওই বাড়িতেই বৃহস্পতিবার উদ্ধার হওয়া ইমাম হোসেনের সঙ্গে কালের কণ্ঠ প্রতিবেদকের কথা হয়। তাঁর দুই ছেলে সলিম উল্লাহ ও সালামত উল্লাহর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা তিনি জানেন না।

বিজিপির গুলিতে ৪৩ জনের মৃত্যু এবং ৬৬ জনকে আটকের বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মৃতদের মধ্যে কতজন গুলিবিদ্ধ আর কতজন পানিতে ডুবে মারা গেছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যও পাওয়া যায়নি।

নাফ নদে শুলির শব্দের বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্ট গার্ড টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. আতাউর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাতে লোকজনের কাছে নাফ নদে চিত্কার হচ্ছে শুনে একটি টিম পাঠানো হয়। কিন্তু কোস্ট গার্ড টিম গিয়ে কোনো রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা পায়নি। রোহিঙ্গারা অন্য স্থানে সরে গেছে বা তাদের বিজিপি নিয়ে গেছে। ’ তিনি বলেন, ‘আমি নিজে গুলির শব্দ শুনিনি, তবে স্থানীয়রা শুনেছে বলে জানিয়েছে। ’

অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় হাজারো রোহিঙ্গা : ওপার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের দেওয়া তথ্য মতে, হাজার হাজার মানুষ সীমান্তে এসে ঝোপ-জঙ্গলে লুকিয়ে অবস্থান করছে। অর্থের বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে এপারে পাড়ি জমাতে অপেক্ষা করছে তারা। আর দুই পারের দালালরা মূলত বিজিবি-বিজিপির টহল এড়িয়ে কৌশলে রোহিঙ্গাদের নৌকায় তুলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে। দুই পারের দালালদের অর্থ দিয়েই বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অনুপ্রবেশকারী একাধিক রোহিঙ্গা পরিবার।2333455_kalerkantho-16-12-3

ওপারে অবস্থানরত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য নাফ নদের তীরে হাজারো মানুষ অপেক্ষা করছে। তারা নৌকা পেলেই সুযোগ বুঝে উঠে পড়ছে। মিয়ানমার-বাংলাদেশের দালালরা অর্থের বিনিময়ে তাদের নাফ নদ পার করে দিচ্ছে।

মংডুর এক বাসিন্দা ফোনালাপে কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁর ১০ বছরের মেয়েটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ওই মেয়ের সঙ্গে আরো দুজন গুলিবিদ্ধ রোগীকে নিয়ে তিনি বাংলাদেশে আসার জন্য গত মঙ্গলবার থেকে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর গুলিবিদ্ধ আহতরা সেখানে চিকিত্সা পাচ্ছে না। এদিকে সীমান্তে তিন দিন ধরে অবস্থান করেও ওপার থেকে এপারে আসতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ আহতরা চলাফেরায় অক্ষম হওয়ায় সংকট আরো তীব্র হয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশে আনার পর কোনো হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া আসলেই সম্ভব হবে কি না, নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরে নিয়ে যাবে—এমন শঙ্কাও আছে।

ওপারেও বাংলাদেশি দালাল : বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাতে মিয়ানমারে গিয়ে ধরা পড়েছে টেকনাফের বড়ইতলী গ্রামের মৃত জহির আহমদের ছেলে আনোয়ার সাদেক (২০), বড়ইতলীর লামাপাড়ার আমানুল্লাহর ছেলে সলিম উল্লাহ (১৮) ও নাইট্যংপাড়ার মৃত মোহাম্মদ শফির ছেলে আহমদ উল্লাহ (২২)।

রোহিঙ্গাদের এপারে নিয়ে আসার জন্য এই তিনজনসহ আরো কয়েকজন বুধবার রাতে তিনটি নৌকা নিয়ে নাফ নদের ওপারে যায়। পরে বিজিপি ওই তিন দালালকে সে দেশের জলসীমা থেকে আটক করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আনোয়ার সাদেকের মা জুহুরা বেগম বলেন, ‘তাঁর একমাত্র ছেলে কোনো দিন ওপারে মানুষ আনতে যায়নি। কিন্তু বুধবার বন্ধুদের ফাঁদে পা দিয়ে ওপারে গেছে। এখন তার ভাগ্যে কী হয়েছে জানি না। ’

বাংলাদেশি দালালদের বিরুদ্ধে বিজিবি ও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি আবদুল মজিদ ও উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের। তাঁরা জানান, এ পর্যন্ত ২২ জন বাংলাদেশি দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অনুপ্রবেশের বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি নিরলস কাজ করছে। প্রতিরাতেই রোহিঙ্গা নারী-পুরুষবোঝাই পাঁচ-সাতটি নৌকা নাফ নদ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘১ ডিসেম্বর ভোরেও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ১১টি নৌকায় শতাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় বিজিবি। আর মধ্য নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা নাফ নদ থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ’

নতুন ৪০০ রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে তৈজসপত্র বিতরণ : কায়েস (৮), মিয়ানমারের মংডুর পোয়াখালী গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। নভেম্বরের মাঝামাঝি বাড়িতে আগুন দিয়ে শিশুটির বাবা ও মা ইয়াসমিনকে পুড়িয়ে মারা হয়। শিশুটি অন্যদের সঙ্গে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। ১০-১২ দিন আগে টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে এসে এক আত্মীয়ের কক্ষে আশ্রয় নেয়। গতকাল সন্ধ্যায় সেও পায় আইওএমের একটি ব্যাগ। সে ওটা পেয়ে বেশ খুশি। কায়েস জানায়, মালয়েশিয়ায় তার তিন ভাই রয়েছে। আর মা-বাবা আগুনে পুড়ে মরে গেছে। লেদা অনিবন্ধিত ক্যাম্পে নতুন আসা এ ধরনের চার শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবারের মধ্যে তৈজসপত্র (নন ফুড আইটেম) বিতরণ করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।

গতকাল বিকেলে এসব বিতরণ করা হয়। পরিবারপ্রতি নীল রঙের একটি ব্যাগ দেওয়া হয়। এই ব্যাগে রয়েছে—দুটি কম্বল, একটি মশারি, একটি থামি, একটি লুঙ্গি, একটি কলস, দুটি গ্লাস, দুটি ডেকচি, দুটি থালা, একটি গামছা, শার্টের কাপড়, দেয়াশলাই ও মোমবাতি।

প্রতিবাদ বিক্ষোভে সিলেট উত্তাল : সিলেট অফিস জানায়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো গণহত্যা বন্ধের দাবিতে গতকাল প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সিলেট নগর। বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচিতে অংশ নিতে জুমার নামাজ শেষে নগরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে কয়েক হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় নগরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরের কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও অংশ নেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। ইমাম সমিতি মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাবের সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই কাইয়ূম, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মিয়ানমারে মুসলিম হত্যা বন্ধে জাতিসংঘকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের মায়াকান্না দেখতে চাই না। অবিলম্বে জাতিসংঘকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে মিয়ানমারে মুসলমান হত্যা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ’ একই সঙ্গে তাঁরা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আশ্রয় দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

রংপুরে মানববন্ধন : রংপুর অফিস জানায়, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে রংপুর মহানগরীর নব্দিগঞ্জবাসী। নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে গতকাল জুমার নামাজের পর নব্দিগঞ্জ এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোখতার আহমেদ, কল্যাণী ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম, সাংবাদিক আফতাব আহমেদ, নব্দিগঞ্জ ঈদগাহ মাঠের ইমাম আবদুস সালাম ফেরদৌস, স্থানীয় ইউপি সদস্য নেছার আহম্মেদসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সুত্র: কালেরকন্ঠ

পাঠকের মতামত