সবজি বাগানে পড়ে ছিল রোহিঙ্গার রক্তাক্ত মরদেহ
নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি সবজি বাগান থেকে মো. সুলতান (৫৫) নামে এক রোহিঙ্গার রক্তাক্ত ...
rঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন।
বুধবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা সদর মডেল থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ আসামি করা হয়েছে অসংখ্য ফেসবুক ব্যবহারকারীকে। যারা সম্প্রতি ফেসবুকে বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট দিয়েছেন।
এদিকে, গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে। তিনি জানান, সম্প্রতি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে নুরের বিরুদ্ধে। মামলার অন্য আসামিদের পুলিশ শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।
মামলার বাদী জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়ে আসছিল। একইসঙ্গে কক্সবাজারে বসে এসব উসকানিমূলক পোস্ট করে আসছিল তার কিছু অনুসারীরাও। সেজন্য নুরসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বুধবার দুপুরে বোয়ালিয়া মডেল থানায় নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাজশাহীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন নগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি।
মামলার বিবরণীতে তৌরিদ আল মাসুদ বলেন, ভিপি নুর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও সরকারের সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করছেন। ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এতে সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটার উপক্রম হচ্ছে। নুরের বক্তব্য ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করছে। প্রমাণ হিসেবে নুরের এসব বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ পেনড্রাইভে করে থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। কিছু স্ক্রিনশটও জমা দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বলেন, মামলার সঙ্গে বাদী যেসব আলামত জমা দিয়েছেন, সেসব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সিআইডির বিশেষজ্ঞরা জানাবেন এসব বক্তব্য ভিপি নুরের কিনা। যদি এসব বক্তব্য নুরের হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। এর আগে ১৬১ ধারায় মামলার সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে। তাদের কাছ থেকে জানা হবে, নুরের বক্তব্য তাদের মধ্যে কী ধরনের বিদ্বেষমূলক মনোভাব তৈরি করেছে।
ওসি জানান, দ্রুতই মামলার নথিপত্র ঢাকায় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। পাশাপাশি ভিপি নুর যে থানা এলাকায় থাকেন, তাকে গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়ে সেই থানায় বার্তা পাঠানো হবে। এ ছাড়া তারা নিজেরাও দ্রুত সময়ের মধ্যে নুরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি
পাঠকের মতামত