প্রকাশিত: ১৩/০৮/২০১৮ ৮:০৪ পিএম , আপডেট: ১৬/০৮/২০১৮ ১১:২৬ পিএম

ডেস্ক নিউজ – মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ৭ লক্ষাধিক শুধু গত বছরের আগস্ট মাসের পরবর্তী সময়েই পালিয়ে এসেছে। এরা সকলেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংসতা, নির্যাতন, জ্বালাও-পোড়াও, ধর্ষণ, হত্যার মত ভয়াবহ সহিংসতার শিকার।

এরকম বেশকিছু নির্যাতিত নারী এবং শিশুর ছবি শুক্রবার প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি সান। পত্রিকাটি বলেছে মিয়ামারের মুসলিম জাতিসত্ত্বার মানুষেরা বহুদিন যাবৎ দেশটির সরকারের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে আসছে। গত বছর জাতিগত নিধনযজ্ঞের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় রোহিঙ্গারা। এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে থাকা শিশুরা প্রায় প্রত্যেকেই সাক্ষী হয়েছে পাশবিক নির্যাতনের।

সান প্রকাশিত ছবিগুলোর একটিতে দেখা যায় ৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ হারুর তার ৪ বছর বয়সী ভাই মোহাম্মদ আখতারকে জড়িয়ে ধরে আছে। দুজনের শরীরই বিভৎসভাবে পোড়া। রাখাইন রাজ্যে তাদের গ্রাম ফখালিকে একদল সশস্ত্র মানুষ ঘিরে ধরে এবং তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। সেসময়ই তাদের এই ক্ষত সৃষ্টি হয়।

মোহাম্দ হারুর (বামে) এবং মোহাম্মদ আখতার

তারা আরো ভয়াবহ নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছে। তাদের সামনেই গ্রামের বহু নারীকে ধর্ষণ করা হয় এবং গ্রামের ইমামকে জবাই করা হয়। তাদের মা গ্রামের কুয়া থেকে পানি আনছিলেন। ফেরার সময় দেখতে পান তাদের বাড়িতে আগুন জ্বলছে। তিনি তাঁর ৩ সন্তানকে উদ্ধার করতে দৌড় দেন। একজন মারা যায়। বাকি দুইজনকে তিনি আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে তাদের শরীর ভয়াবহভাবে পুড়ে যায়।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ এই দুই শিশু

 

 

তুলাতুলির শফিক বেগম (১৫)

তাদের বাবাকে সেনা সদস্যরা ২০১৫ সালে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোন সন্ধান মেলেনি। আরেকটি ছবি তুলাতলি গ্রামের শফিক বেগমের। তার শরীর তার বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় জ্বলে যায়। তিনি তার পরিবারের একমাত্র জীবিত ব্যক্তি। তার বাবা-মা, ৫ বোন ও ৪ ভাইকে জবাই করা হয়। বাকি ছবিগুলো সেই নারী ও শিশুদের যারা গণ-ধর্ষণের শিকার হয়েছে অথবা ভয়াবহ নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছে।

আলকামা বিবি (১৩) নিজের চোখের সামনে বাবা ও বেনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যেতে দেখেছেন

 

 

রশিদা বেগম (২৩), ধর্ষণ এবং গলা কেটে ফেলার পরও যিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন

আজদা বিবি (১০) চেখের সামনে পুরো পরিবারকে নিহত হতে দেখেছে

সুনুয়ারা বেগম (৩৫), গর্ভবতী অবস্থায় মিয়ানমারের সেনারা তাকে ধর্ষণ করে।েএরপর পেটে লাথি মারায় তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়

 

সোহারা খাতুন (২১)। তাকে সন্তানদের সামনে ধর্ষণ করা হয় । বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় তার বড় সন্তান মারা যায়

 

নূর কলিমা (১০)। চোখের সামনে পুরো পরিবারকে হত্যা এবং মাকে ধর্ষিত হতে দেখবার পর থেকে স্বাভাবিক হতে পারেনি

দ্য সান

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...