প্রকাশিত: ১২/০৭/২০১৮ ৭:১৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৫০ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য বাংলাদেশের সাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। আগামী নির্বাচনের কয়েক মাস আগ দিয়ে এই ডকুমেন্টারি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।

হাসিনার বাবা ও দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরির ব্যাপারেও আওয়ামী লীগকে সাহায্য করবে মোদি সরকার। এই ডকুমেন্টারিতে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে বেশি করে তুলে ধরা হবে।

সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। অডিও-ভিজুয়াল কো-প্রডাকশান বিষয়ক যৌথ কমিটির প্রথম বৈঠকে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। একই দিন দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষরিত হতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরিতে নয়াদিল্লীর আগ্রহ দেখে মনে হয় আগামী নির্বাচনে হাসিনার তৃতীয় দফা ক্ষমতায় আসার পক্ষে নয়াদিল্লীর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন যে, নয়াদিল্লী সতর্কভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। হাসিনার ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান সমালোচনা সম্পর্কেও অবগত রয়েছে তারা। তার বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং প্রেসও রয়েছে।

বিস্তারিত নিয়ে কাজ চলছে

এখনও এটা স্পষ্ট নয় যে, ঠিক কিভাবে হাসিনাকে নিয়ে ডকুমেন্টারি নির্মাণে সাহায্য করবে ভারত। হতে পারে এটা যৌথ প্রযোজনার মাধ্যমে হবে। বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় এটি প্রযোজনা করবে কিন্তু অর্থায়নসহ অন্যান্য যে সব বিষয়ে ভারত সাহায্য করতে পারে, সেগুলো নিয়ে আলাদা বৈঠক হবে।

শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে নির্মিতব্য চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারির ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানিয়েছে, ভারত দুটো প্রকল্পের ক্ষেত্রেই ৮০ শতাংশ অর্থায়ন করবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ করবে বাকি ২০ শতাংশ। তবে শ্যুটিংয়ের সময় নির্ধারণ, স্ক্রিপ্ট অনুমোদন, পরিচালক নির্বাচন এবং চলচ্চিত্রের প্রাক ও পোস্ট-প্রডাকশানসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিস্তারিত কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে ধারণা করা হচ্ছে।

‘একটি ভারত-বান্ধব দল’

২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় আছে হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিতর্কিত জয় পায় তারা। বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) ওই নির্বাচন বয়কট করে। ফলে অর্ধেকের বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই জয়ী হয় আওয়ামী লীগ।

বিএনপির তুলনায় আওয়ামী লীগকে ভারত-বান্ধব দল হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। যে কারণে বাংলাদেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারতের পক্ষে হাসিনাকে সমর্থন দেয়াটা স্বাভাবিক। দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে আরও কিছু মিডিয়া-বিষয়ক ইস্যু নিয়েও আলোচনা করা হবে।

প্রাইভেট সেক্টরে যৌথ চলচ্চিত্র নির্মাণ, বাংলাদেশে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের সীমাবদ্ধতা এবং সীমান্ত দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের যাতায়াত আরও সহজ করার বিষয় নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।

পাঠকের মতামত

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...

রোহিঙ্গাদের জন্য ইউএনডিপির বড় তহবিল গঠনে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বড় আকারের আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতি আহ্বান ...