প্রকাশিত: ১৬/১০/২০১৮ ৩:৪২ পিএম , আপডেট: ১৬/১০/২০১৮ ৩:৪৪ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রত্যাশিত দোহাজারী কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম রেলপথ প্রথম লটের কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরে যুক্ত হওয়ার কাজ শুরু হলো। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত রেল লাইন প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন।

এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দোহাজারী ভায়া কক্সবাজার হয়ে সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণের প্রথম লটের কাজ শুরু করেছে চীন এবং বাংলাদেশের স্বনামধন্য দুটি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী কক্সবাজার ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের রামু কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে দুটি ধাপে প্রায় ১৭শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রথম লটে দোহাজারী রামু রেলপথ নির্মাণের কাজের চুক্তি হয় চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসফ এবং দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের মধ্যে। ২য় লটে ৫০২ কোটি ৫লাখ ২ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্ধে কক্সবাজার রামু রেলপথ নির্মাণ কাজের চুক্তি হয় চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ও দেশের ম্যাক্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে। শর্তানুযায়ী পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, ২য় লটে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

দোহাজারী রামু রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও তমা কনষ্ট্রাকশন কোম্পানির পরিচালক সু কুমার ভৌমিক বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলেও কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

রামু কক্সবাজার ২য় লটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার লিমিটেডের উপ-প্রকল্প পরিচালক আনান কুনখানী বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত ১৭শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্রগ্রাম দোহাজারী ভায়া ঘুমধুম রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্পে রয়েছে, ৯টি রেলওয়ে ষ্টেশন, ৪টি বড়, ৪৭টি ছোট ব্রীজ, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। ঘণ্টায় ১’শ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন রেল লাইনে অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা সংযোজন এবং কক্সবাজার সৈকতে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক রেল ষ্টেশন। এ রেল লাইনটি তৈরি করতে চট্রগ্রাম কক্সবাজার জেলার উভয় দিকে প্রায় ১হাজার ৪শত একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অধিগ্রহণকৃত জমির মধ্যে কক্সবাজার জেলার ১ হাজার একর ও চট্রগ্রাম জেলার ৪শত একর ভূমি রয়েছে। যার অধিকাংশই ব্যক্তি মালিকানাধীন। ২০১৩ সালের ১৯ এপ্রিল একনেকের সভায় দোহাজারী ভায়া কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত রেলওয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, দোহাজারী ঘুমধুম রেল লাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। যাত্রীরা নিরাপদে গন্তব্য স্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মুখী প্রকল্পের মধ্যে এটি অন্যতম। যেহেতু, রেল লাইনটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরে যুক্ত হচ্ছে। এতে আর্ন্তজাতিক বানিজ্য সম্প্রসারিত হবে। পাশ্ববর্তী বন্দুপ্রতীম দেশ গুলোর সাথে সম্পর্কের আরো উন্নয়ন হবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...