প্রকাশিত: ১৩/০৯/২০২০ ৫:২২ পিএম

ভাসানচর দেখে ফিরে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী দলের সদস্যরা সেখানকার সার্বিক অবকাঠামোকে ভালো বললেও ‘থাকার ঘরের আকার’ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন। তাদের মতে, ওই ঘরে দুই-তিন জনের বেশি থাকা সম্ভব নয়।

রোহিঙ্গা শরণার্থী দলের সদস্যরা বলছেন, ‘আমরা সাত-আট জনের একটি পরিবার সেখানে গিয়ে কিভাবে থাকবো? আর সেখানে গিয়ে থাকলেই বোঝা যাবে বাস্তব পরিস্থিতি কী।’

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ভাসানচরের অবস্থান। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সেখানকার ৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা রক্ষা করতে ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ তৈরি করেছে। এক লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে সেখানে।

এদিকে ভাসানচর ঘুরে আসা রোহিঙ্গাদের কেউই এখন পর্যন্ত ভাসানচরে গিয়ে থাকার পক্ষে মত দেননি। তারা বলছেন, ‘পরিবারসহ সবার সঙ্গে কথা বলে তারপর দেখা যাবে। এই নিয়ে আমাদের নিজেদের মধ্যে নানা মত আছে। নানামুখী চাপও আছে।’ এদিকে অনেকে আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভাসানচর নিয়ে প্রচারণা চালালে প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের দুই নারীসহ ৪০ সদস্যের একটি দলকে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হয় গত ৫ সেপ্টেম্বর। ৮ সেপ্টেম্বর তারা ফিরে আসেন। নৌবাহিনী ও শরণার্থী কমিশনের তত্ত্বাবধানে সেখানকার অবস্থা দেখাতে তাদের সেখানে নেওয়া হয়।

ভাসানচর ঘুরে আসা রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নূর বলেন, ‘সেখানে অনেক কিছুই আছে। স্কুল, সাইক্লোন সেন্টার, অফিস। কিন্তু আটটি পরিবারের জন্য একসাথে যে থাকার ঘর করা হয়েছে তা অনেক ছোট। প্রত্যেক পরিবারের জন্য একটি রুম। আট ফুট বাই নয় ফুট। তাতে দুই-তিন জনের বেশি থাকা সম্ভব নয়। আমরা কী করে ছয়-সাত সদস্যের একটি পরিবার ওই একটি রুমে থাকবো? ভাসানচরের চেয়ে কক্সবাজারে শরণার্থী ক্যাম্পে থাকার ঘর বড়। এখানে সুবিধা বেশি।’

আরেক রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মোস্তফাও একই কথা বললেন— ‘থাকার ঘর ছোট। তবে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভালোই আছে। সবার সঙ্গে কথা বলি। দেখি তারা কী বলেন।’

অন্যদিকে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘আমরা একটা উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারা নিজ চোখে দেখে আসুক সরকার তাদের যেখানে থাকতে দিতে চায় সেই জায়গাটি কেমন। তারাই নিজ চোখে দেখে সিদ্ধান্ত নিক। আমাদের কাছে ভাসানচর দেখে তাদের কেউ কেউ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ নেগেটিভও আছেন। এখন তারা তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলুক। তারপর সিদ্ধান্ত নিক। আমরা তো কাউকে জোর করে পাঠাবো না।’ সুত্র: চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...