প্রকাশিত: ১৯/০৭/২০১৭ ৬:৪৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৩৪ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
থাইল্যান্ডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ১০৩ আসামির সাজা ঘোষণা করা হচ্ছে। আজ বুধবার দেশটির একটি ফৌজদারি আদালতে এ রায় ঘোষণা শুরু হয়। এতে দুপুর পর্যন্ত ৩৮ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযুক্ত সবার সাজা ঘোষণা শেষ হতে আজ সারা দিন লেগে যাবে। ব্যাংকক পোস্টের এক খবরে এ কথা জানানো হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রয়েল থাই সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাস কংপেন, স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং মিয়ানমারের নাগরিকরা। এঁরা সে সময় থাই-মালয়েশিয়া সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
Advertisement
এদিকে, বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
জনাকীর্ণ আদালতে রায় ঘোষণার সময় কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলেও আদালতের কার্যক্রম টেলিভিশনের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
সকালে আদালতের কার্যক্রমের প্রথমার্ধে ২২ জনের রায় ঘোষণা করা হয়। এঁদের মধ্যে কেবল একজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সুনাই ফাসুক জানান, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।
অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজন মানবপাচারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। বাকিরা অন্যান্য অপরাধ যেমন জোর করে আটকে রেখে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত।
মানবপাচারের সঙ্গে একজন সেনা কর্মকর্তা জড়িত থাকায় এর সঙ্গে গোটা সেনাবাহিনীকে যেন অভিযুক্ত না করা হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে বলেছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রেয়ুত চ্যান ওচা।
২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গলে বেশকিছু গণকবর আবিষ্কারের পর এ বিষয়ে বিচার শুরু হয়। জানা যায়, বিশেষ করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের পাচার করে এনে এসব জঙ্গলের ক্যাম্পে জিম্মি করে রাখা হতো। পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা চাওয়া হতো। তবে যাঁরা এই টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হতেন তাঁদের ঠাঁই হতো ওই গণকবরে।
অন্যদিকে, এত কিছুর পরেও পাচারকারী চক্র এখনো সক্রিয় বলে অভিযোগ উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছে থাই সরকার। তারা বলছে, দেশটি থেকে বেশির ভাগ মানবপাচার চক্রকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত