প্রকাশিত: ২১/০৫/২০২০ ৯:৩৩ এএম

থাইল্যান্ডে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ১৫ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা মানব পাচারের শিকার হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে ১২ জনকে মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে এবং বাকি তিন জনকে বুধবার (২০ মে) সকালে থাইল্যান্ডের মে সট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি দুই দেশকে পৃথককারী একটি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা।

গ্রেফতারকৃতরা সকলে মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যের বুথিদং এর বাসিন্দা। সর্বাধিক রোহিঙ্গা বসবাসকারী এলাকার মধ্যে এটি অন্যতম।

মে সট জেলার পুলিশ পরিদর্শক ফাবড সাং-আরাম ফোনে রয়টার্সকে জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আরো জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা মানব পাচারের শিকার কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ফাবড আর বলেন, থাইল্যান্ডের তিনজনকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মে সট জেলার প্রধান চাইয়াফেউক চিয়ানত্রানলুক জানান, এই দলটির থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর হামলার পর প্রচুর রোহিঙ্গা বৌদ্ধ ধর্ম প্রধান রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যায়। জাতিসংঘের মতে গণহত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এদের অনেকেই মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।

তবে মায়ানমার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, এই অভিযান পুলিশকে আক্রমণ করা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ছিল। তারা আরো বলে, রোহিঙ্গারা দক্ষিণ এশিয়া থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসী।

বর্তমানে ১ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের শরনার্থী ক্যাম্পে দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

পাঠকের মতামত