প্রকাশিত: ১৪/১০/২০১৬ ৭:৪৪ এএম
রোবরোববারের হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্ক::

অভিযানের নামে আরাকানের মুসলিমদের উপর মিয়ানমারে সরকারি তিনটি বাহিনী নির্মম নৃশংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত ৫ দিনে সংঘর্ষে মারা গেছে ৩৯ জন। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন রাখাইন রাজ্যের শত শত মুসলিম আরাকানি।

গত সপ্তাহের রোববার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনার সূত্রপাত।

এরপর থেকে শুরু হয় পুলিশ, সেনাবাহিনী ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ত্রিমুখী হামলা। বুধবারও মারা গেছে ১০ গ্রামবাসী। সরকারি বাহিনী জ্বালিয়ে দিয়েছে কমপক্ষে ২৫ টি বাড়ি। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালিন কারফিউ।

কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলো মিয়ানমারের নতুন সরকার। কিন্তু নতুন করে শুরু হওয়া এই সহিংসতা ওই ‍উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতিসংঘের ভাষায়, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশ্বের সবচাইতে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর একটি। যারা পৃথিবীর কোনো দেশের নাগরিক নয়।

গত কয়েক শতাব্দী ধরে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের বাস। দেশটি রোহিঙ্গাদের তার নাগরিক মনে করে না। বরং মিয়ানমার মনে করে তাদের আদি আবাস বাংলাদেশ। এমনকি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহারেও দেশটির সরকারের আপত্তি রয়েছে।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার মুখে পালিয়ে সীমান্ত পার হয়ে তাদের অনেকেই বাংলাদেশেও প্রবেশ করেছে।

বাংলাদেশে কক্সবাজার এলাকাতেই তাদের একটা বড় অংশ বাস করেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতেও কিছু রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। সরকারের রেজিস্টার্ড ক্যাম্পগুলোতে ৩৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গা বাস করে।

কিন্তু বলা হয় বাংলাদেশে তাদের মোট সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো।  সুত্র: দৈনিক যুগান্তর

পাঠকের মতামত