প্রকাশিত: ২৪/০৯/২০১৮ ৭:২০ এএম

ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় পাস না করলে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না শিক্ষার্থীরা। আগে এমন নিয়ম না থাকলেও আসছে শিক্ষাবর্ষ থেকে এ নিয়ম চালু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে, যা এরইমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তপন কুমার সরকারের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্বাচনী পরীক্ষার উত্তরপত্র ছয় মাস সংরক্ষরণ করতে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে তপন কুমার সরকার সারাবাংলাকে বলেন, এর সুবিধা-অসুবিধা কিংবা উদ্দেশ্য কেবল মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। তবে বিষয় হলো— যে আদেশ জারি হয়েছে তা মন্ত্রণালয়ের। এর মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বাড়বে।

বোর্ড সূত্র জানায়, মূলত প্রশ্ন ফাঁস রোধের একটি অংশ হিসেবেই এই আদেশ জারি করা হয়েছে। সাধারণত মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন ফাঁসের পেছনে ছোটে না। যারা দু’তিন বিষয়ে ফেল করে, তারাই আগে থেকে প্রশ্নের পেছনে ছোটে। এই আদেশের মাধ্যমে এখন থেকে অনুত্তীর্ণদের আর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকল না।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে একটি চিঠি পাঠায়। দুদকের চিঠিতে নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অনিয়ম রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

অধিদফতর বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে গত ১৬ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় উপকমিটির চেয়ারম্যান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠায়।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...