টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেকনাফ থানার পুলিশ প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন আসছে। শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। আজকালের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের স্থলে নতুন ওসি যোগদান করছেন।
তার নাম মো. ফয়সাল। কুমিল্লা থেকে বদলি হয়ে যাচ্ছেন তিনি। নতুন ওসির যোগদানের পরপরই থানার প্রায় সব পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হবে।
কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদে ৬০-৭০ পুলিশ সদস্য টেকনাফ থানায় রয়েছেন। পুরোনো কোনো স্টাফকে সেখানে আর না রাখার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঊর্ধ্বতনরা।
সেখানকার অনেকের বিরুদ্ধে ছোট-বড় অভিযোগ রয়েছে। আবার কেউ কেউ ওসি প্রদীপের বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ডেও জড়িয়েছেন। এমন বাস্তবতায় নতুন জনবল কাঠামো দিয়েই আগামীতে টেকনাফ থানা চালানো হবে।
এদিকে টেকনাফ থানায় প্রদীপের অনেক অপকর্মের সঙ্গী এএসআই মিঠুন ভৌমিক ও এএসআই সঞ্জীব দত্ত। এরই মধ্যে মিঠুনকে কক্সবাজার ডিএসবিতে ও সঞ্জীবকে পেকুয়া থানায় বদলি করা হয়েছে।
প্রদীপের হয়ে মিঠুন ও সঞ্জীব অনেক নিরীহ মানুষকে ধরে এনে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। টাকা না দিলে নির্যাতন করা হতো। টাকা আদায় করার পরও মাদকসহ মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হতো।
পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার ভাষ্য- অনেক সময় ভালো পুলিশ সদস্যরা টেকনাফে যেতে চায় না। তাদের আশঙ্কা থাকে, মাদক রাজ্যে তারা কোনো না কোনোভাবে ফেঁসে যেতে পারেন।
টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, প্রদীপের অপকর্মের সঙ্গীরা যত দ্রুত টেকনাফ ছাড়বে ততই এলাকাবাসীর মঙ্গল। ইয়াবা কারবার নিয়ন্ত্রণ করার নামে নিরীহ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানায়। সুত্র: কক্সবাংলা
পাঠকের মতামত