প্রকাশিত: ১১/১০/২০২১ ৬:০৬ পিএম

মোঃ আরাফাত সানী, টেকনাফ ::
কক্সবাজার-টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের একাংশের অবস্থা মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।৯০ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৫ কিঃ মিঃ গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পুণ সংস্কার করা হলেও অদ্যাবধি উনচিপ্রাং হতে টেকনাফ পৌর সভার শাপলা চত্বর পর্যন্ত কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে এই সড়কের এমন দশা হয়েছে যে গাড়িতে উঠলে যাত্রী সাধারণ মৃত্যুর কথা স্বরণ করে। কেননা সড়কের উভয় পাশ ভেঙে গিয়ে সরু সড়কে পরিনত হয়েছে। আবার সড়কের মধ্য খানে পুকুর পরিমাম খানা খন্ধকে পরিনত হয়েছে। গাড়ি চলাচলের সময় ঐ খানা গন্ধকে পড়লে প্রতিনিয়ত অনেক গাড়ি দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে যাত্রী সাধারণ মারান্তক হতাহত হয়।

যে সমস্ত যাত্রী আহত হয় তাদের এমন অবস্থা হয় যে জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে। এই সড়ক এতই যে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদিন সড়ক দিয়ে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের উৎপাদিত পণ্য, লবণ,পান,সুপারি ও সাগর থেকে আহরিত মাছ সহ টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে বিভিন্ন পণ্য বুঝায় ট্রাক এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। এই পণ্যের বিপরিতে সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকারা রাজাস্ব আদায় করে থাকে। এর পাশাপাশি ২০১৭ সালে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহীনির অত্যাচারে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী এই সড়কের পাশে উখিয়া-টেকনাফ উপজেলায় অবস্থান নেয়। ফলে এই সড়কে অতীতের চেয়ে তিন হতে চার গুন যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পেথে থাকে। প্রতিদিন অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে সড়কটি কয়েক বছরের মধ্যে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই সড়ক পুর্ণ সংস্কারের ব্যপারে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপদ বিভাগের মাথা ব্যাথা নেই তেমনি কোন প্রশাসনর ও মাথা ব্যাথা নেই বলে সড়কে চলাচল কারি যানবাহন চালক, হেলপার ও যাত্রী সাধারণ ক্ষোভোর সাথে জানান।

মাঝে মধ্যে সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন এসে সড়ক সামান্য পুণ সংস্কারের নামে কয়েকটি গর্ত ভরাট করে চলে যায়। এ ভাবে চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর। কবে নাগাদ এই সড়ক পুণ সংস্কার হবে যাত্রী সাধারণ ও গাড়ির মালিক, শ্রমিক গণের প্রশ্ন?

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলি মোহাম্মদ আলী যায়যায়দিন কে জানান, সড়কের বেহাল অবস্থার উত্তোরণের লক্ষ্যে অনেক বছর আগে হতে আমরা সড়ক নির্মাণের টেন্ডার দেয়ার জন্য আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তুু এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সড়ক নির্মানের বিষয়টি সারাসরি তাদের তত্ত্বাবধানে নেওয়ায় টেন্ডার দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। এরাই মধ্য এডিবি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কক্সবাজারের লিংক রোড হয়ে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং পর্যন্ত ৬৫ কিঃ মিঃ সড়ক নির্মান প্রথম ধাপের প্রথম প্যাকেজ সমাপ্ত করেছেন। দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় প্যাকেজের উনচিপ্রাং হতে টেকনাফ পৌর সভার শাপলা চত্বর পর্যন্ত ৩৪ কিঃ মিঃ সড়ক নির্মান কাজ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে সমাপ্তের কথা ছিল। কিন্তুু সড়কের নির্মাণ কাজের টাকা করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সেবার জন্য মালামাল ক্রয় করায় টেন্ডার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...