প্রকাশিত: ২৩/০৭/২০২১ ৯:৪৩ পিএম

বিশেষ প্রতিবেদক::
কোরবানির ঈদের দ্বিতীয়দিন কক্সবাজারের টেকনাফে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানসিক রোগীদের তহবিল (মারোত)র সহযোগিতায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শতাধিক রোগীদের মাঝে নতুন জামা-কাপড় বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরীর সহযোগিতায় উপজেলার টেকনাফ পৌরসভা, টেকনাফ সদর, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপের শতাধিক মানসিক রোগীদের নতুন জামা-কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মারোতের উপদেষ্টা সন্তোষ কুমার শীল, সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ভুইয়া , সাধারণ সম্পাদক রাজু পাল ও হারুন রশীদ প্রমূখ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শতাধিক মানসিক রোগীদের নতুন জামা কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। কাপড়ের মধ্যে রয়েছে- লুঙ্গি, শাট, থামি ও গেঞ্জি দেওয়া হয়েছে।

মারোত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে মানসিক রোগীদের তহবিলের (মারোত) আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, চিকিৎসক, শিক্ষক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিলিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে এ সংগঠনটি পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠা থেকেই মানসিক রোগীদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে সংগঠনটি। অসহায় এসব মানুষকে চিকিৎসাসেবা, শীতবস্ত্রের পাশাপাশি সৎকার ও দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া মানুষকে পরিবারের কাছেও পৌঁছে দেন তাঁরা। এছাড়া করোনা মহামারিতে টেকনাফে মানসিক রোগী ও ভারসাম্যহীন লোকদের কথা বিবেচনা করে গত ২০২০ সালের ২৫ মার্চ থেকে অদ্যাবধি প্রতিদিন এসব মানসিক রোগীদের এক বেলা করে খাবার বিতরণ করে আসছিল।

প্রধান উপদেষ্টা সন্তোষ কুমার শীল বলেন, করোনা মহামারিতে ২০২০ সালের ১৭ মাচ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এ পর্যন্ত ৩১৭দিন টেকনাফ উপজেলার শতাধিক মানসিক রোগীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত এক বেলা খাবার তুলে দিয়ে আসছে মারোত। এরমধ্যে সংগঠনটির মানবিক সহায়তার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় টেকনাফে মানসিক রোগীদের জন্য একটি হাসপাতাল করার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।

মারোতের কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, মানবতা কী, এ সংগঠন শিখিয়ে দিয়েছে। কিছু উদ্যমী লোকজন মিলে এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রতিনিয়ত মানসিক রোগীদের নানা ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা ও খাবার দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এ সংগঠনটি এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ৩০জন মানসিক রোগীকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে দেওয়ার মতো মানবিকতার পাশাপাশি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমি এ সংগঠনের সকলের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...