প্রকাশিত: ০৯/০৭/২০১৮ ১১:৩৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৫৭ এএম

হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ :
টেকনাফে নিখোঁজ থাকার ১৯দিন পর নাফনদী হতে এক রোহিঙ্গা ডাকাতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
৯ জুলাই বিকালে টেকনাফ মডেল থানার অপারেশন অফিসার রাজু আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার হ্নীলা আনোয়ার প্রজেক্ট সংলগ্ন পূর্বে নাফনদী হতে ভাসমান অবস্থায় নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকের এমআরসি নং-৬৩০২৩, শেড ১০১৭/৫ রোমের বাসিন্দা মৃত উলা মিয়ার পুত্র ও শীর্ষ ডাকাত শিদুল্লাহ (৪০) এর লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা লাশটি তার নিখোঁজ স্বামী রশিদুল্লাহর বলে সনাক্ত করেন। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন বলে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ূয়া নিশ্চিত করেন।
নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানান, অনেক আগে ক্যাম্পে বিদ্যমান অপরাধী চক্রের সাথে মিলে সে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। মিয়ানমারে গড়ে উঠা আরসা গ্রæপের সাথে জোর করে সম্পৃক্ত করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছর হাজত বাসের পর ৫/৬মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে আসেন। ছেলেদের ভবিষ্যত কামনা করে কোন ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত হবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এতে অপরাধী গ্রæপের সদস্যরা কৌশলে গত ২০ জুন রাতে রহিম উল্লাহ ও রশিদুল্লাহ দুই বন্ধুকে দাওয়াত খেতে নেওয়ার পর হতে নিখোঁজ হয়ে যায়। অবশেষে লোকজন ও পুলিশ মারফতে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছেলেরাসহ গিয়ে লাশ সনাক্ত করি। অপর বন্ধু রহিমুল্লাহ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। পিতার শোকে ছেলে সলিমুল্লাহ (১১) ও রহিম উল্লাহ (৮) একেবারে কাতর হয়ে পড়েছে।
এদিকে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রæপের সদস্যরা মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরধরে প্রায় সময় নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সুত্রপাত হয়ে আসছে।

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...