প্রকাশিত: ০৯/০৪/২০১৭ ৯:০০ এএম

সাধারণত দুঃখ কিংবা আনন্দের অতিশায্যে আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরি। এতে করে আমাদের মধ্যকার আবেগ বা অনভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। এ সম্পর্কে গবেষকরা বলেন, জড়িয়ে ধরলে শরীরের সুখ-হরমোন সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং আনন্দ যেমন বাড়ে, তেমনি মনের ব্যথাও কমে। আমরা সকলেই জানি, শিশুরা কান্নাকাটি করলে বা ব্যথা পেলে ওদের কোলে তুলে নিলেই ওরা শান্ত হয়ে যায়। আর বড়দের ক্ষেত্রে শরীরের স্পর্শ বা জড়িয়ে ধরা ব্যথা বা মনের কষ্ট সারাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

এগুলো ছাড়া আরও নানা বিষয় রয়েছে যেগুলো জেনে রাখার প্রয়োজনীতার কথা বলেছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে আপনি যদি সাফল্য অর্জন করতে চান? কিংবা আপনার কোনো আপনজন ক্যান্সারে বা অ্যালার্জিতে কষ্ট পান- এ সময় কিছু কাজ করতেই পারেন, যা হাজারো সমস্যার মধ্যেও আপনার আত্নবিশ্বাস জোগাবে। এক্ষেত্রে সমীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন গবেষকরা।

‘হিউমার’ কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আনে

যে ব্যক্তি সহকর্মী কিংবা বসকে কাজের মধ্যেও সহজে হাসাতে পারেন, তার চাকরিতে উন্নতি হবেই। মার্কিন গবেষকদের করা এক সমীক্ষা থেকে এমনটাই জানা গেছে। কারণ ‘বস’ বা সহকর্মীদের সঙ্গে ‘হিউমার’ বা হাসিঠাট্টার মধ্য দিয়ে যে নিজের আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতা প্রমাণ যায়।

অন্যদের সাহায্যকারীরা দীর্ঘজীবী হোন

গবেষকরা বলেছেন, যারা নাতি-নাতনি বা অন্য মানুষের দেখাশোনা করেন, সাহায্য করেন, তারা দীর্ঘ জীবন লাভ করতে পারেন। সুইজারল্যান্ডের বাজেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৫০০ জন বয়স্ককে নিয়ে একটি গবেষণা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন। গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অন্যদের সাহায্য করেন বা নাতি-নাতনিদের দেখাশোনা করেন, তারাই ভালো আছেন।

ক্যান্সার চিকিৎসায় গানের ভূমিকা

দলের সঙ্গে গান গাওয়া ক্যান্সার চিকিৎসার সহায়ক। ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে করা এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ক্যান্সার রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মাত্র একঘণ্টা একযোগে গান গাওয়ার পর তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে এবং ‘স্ট্রেস’ বা মানসিক চাপের মাত্রা কমেছে। গবেষণাটি করেন লন্ডনের রয়েল কলেজ অফ মিউজিকের গবেষকরা।

গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাবে অ্যালার্জি

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে অনেকের যে শারীরিক সমস্যাও হয়ে থাকে, তা আর আজ কারো অজানা নয়। সুইজারল্যান্ডের ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে করা এক গবেষণা থেকে জানা যায়, ২০৫০ সাল নাগাদ গাছ এবং ফুলের রেণু বা পরাগের অ্যালার্জিতে কষ্ট পাওয়া রোগীর সংখ্যা শুধু ইউরোপেই বেড়ে হবে ৩৩ মিলিয়ন থেকে ৭৭ মিলিয়ন। অর্থাৎ গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর ফলে অ্যালার্জিও হতে পারে।

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...