প্রকাশিত: ২২/০৭/২০১৭ ২:৪২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:২৭ পিএম

বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

সংগ্রামী ভাই, ইসতিয়াক আহমদ জয়!

আমি কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের একজন কর্মী। উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একজন ছাত্র আমি। নাম শেফায়েত হোসেন আরফাত। বিগত দুই,একবছর ধরে উখিয়া ছাত্রলীগ নিয়ে আমরা বড়ই উদ্বিগ্ন, এই উদ্বেগ থেকেই আপনাকে চিঠি লেখা।

নানা জঠিলতা পেরিয়ে আপনার দূরদর্শীতাই গত ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে জেলা থেকেই ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিঠি ঘোষনা করা হয়, ক্ষমতা নোমান ভাই ও মিথুনের হাতে থাকলেও, উখিয়া ছাত্রলীগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সভাপতি সরওয়ার কামাল পাশার ভাই ও কর্মী সৃষ্টির অসাধারণ দক্ষতা থাকার কারণে উখিয়া ছাত্রলীগের হাজার হাজার কর্মীদের দায়ীত্ব এসে পড়ে যুগ্নসাধারন সম্পাদক আবছার কামাল পাশার উপর। সব কিছু সহ্য করেই পিতা মুজিবের আদর্শ বুকে নিয়ে আবছার ভাইয়ের নেতৃত্বে বাড়তে থাকে ছাত্রলীগের কর্মী। এর কারনেই বাড়তেই থাকে সাধারণ সম্পাদকের সাথে দন্দ। বিভক্ত হতে থাকে নেতৃত্ব। অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাড়তে থাকে গ্রুপিং।

এইসময় বিনামেঘে বজ্রপাত হয়, একরাতে তাতঁ,শিল্প ও বস্ত্র মেলাকে কেন্দ্র করে উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহীন ছুরিকাহত হয়(যাকে পরে কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক বলে চালিয়ে দেওয়া হয়)। গজব নাজিল হয় প্রথমে আমাদের উপর। আমি, সরওয়ার ভাই, আবছার ভাইকে আসামী করা হয়। পালিয়ে বাচতে বাধ্য হয় আরও অনেক ছাত্রলীগ কর্মী। এর কোন কিছুই আপনার অজানা নই। দীর্ঘ ১৫মাস পালিয়ে বাচার পর অবশেষে মামলা থেকে রেহায় পাই। কিন্তু উখিয়া ছাত্রলীগের কলঙ্ক কোনভাবেই শেষ হচ্ছেনা। কয়েকদিন আগেই আবার পালংখালী স্কুল ছাত্রলীগ সভাপতি থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের হাতে নিহত হয়। জীবন দেওয়া নেওয়ার এই নৃশংসতায় উখিয়া ছাত্রলীগের সোনালি ইতিহাস আজ রক্তাক্ত। এর ভবিষ্যৎ কি আমি জানিনা। তবে আমি নিশ্চিত ভাবেই বলতে পারি এবং উখিয়ার প্রায় সবাই জানে, এর পিছনে রয়েছে একজন অদক্ষ, ষড়যন্ত্রকারী এবং স্বার্থলোভি একজন তথাকথিত ছাত্রনেতা।

সময়ের পরিপেক্ষিতে আমাদেরও একটা সময় গ্রুপিং করতে হয়ছে। কিন্তু আপনি জেলা ছাত্রলীগের দায়ীত্ব পাওয়ার পর আমরা কোনভাবেই সেই ঝাঝ টা আর বাচিয়ে রাখিনি। পদবী না নিজেদের মুজিব প্রেমি হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। উখিয়া ছাত্রলীগের সম্মেলনে আপনার বলা কথাগুলো এখনো কানে বাজে। আপনি বলেছিলেন ছাত্রলীগ বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িত জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। ছাত্রদের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়েই শক্তিশালী করতে হবে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত। এই জন্য চাই জাতির পিতার প্রতি ভালোবাসা, আদর্শ ও ত্যাগ দেওয়ার মানসিকতা।
পিতা মুজিবের আদর্শে দীক্ষিত আপনার বলা কথাগুলো আজ উখিয়া ছাত্রলীগ থেকে তলিয়ে যাচ্ছে, তার জায়গায় স্থান করে নিচ্ছে অত্যান্ত ঘৃন্য এক স্বার্থবাদী ঘাতকের অস্ত্র। ঘাতকের এই অস্ত্র যেমন আওয়ামী রাজনীতির প্রতি উদ্যত, তেমনি উদ্যত উখিয়া ছাত্রলীগের কর্মীদের সুস্ত চিন্তা ও সাহসী মানসিকতার বিরুদ্ধেও। অন্যদিকে আমরা কিছু নেতার একচোখা আচরণ ও প্রতিহিংসারও শিকার। আমরা আজ এই দ্বিমুখী আগুনের অসহায় ইন্ধন। এই আগুনে আমরা পুড়ে শেষ হবার মুখোমুখি। প্রতিটা নতুন দিন অবস্থার নতুন অবনতি নিয়ে আসছে। এই অবনতি রোধ করে আমাদের বাঁচাতে পারে কে?? আল্লাহর পরে আপনিই পারেন, আপনার কাছেই আমার এই চিঠি।

ষড়যন্ত্রমুলক হত্যা মামলা থেকে আমরা রেহায় পেলেও এখনো আমাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। উদ্দেশ্য একটাই আমাদের ঝামেলায় ফেলে ছাত্রলীগকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করা। এইসব মাথায় নিয়ে এই সময়ে আমরা খুব অসহায় ভাইয়্যা, তারচেয়ে বেশি অসহায় উখিয়া ছাত্রলীগের কয়েকহাজার কর্মী, কয়েকহাজার মুজিব সৈনিক। প্রতিবাদ করলেই হতে হয় মামলা,হামলা কিংবা বহিঃষ্কারের স্বীকার। পিতা মুজিবের হাতে গড়া এশিয়ার বৃহৎ একটা ছাত্রসংগঠনের ক্ষুদ্র কিছু কর্মী আমরা এতোই বেশি নগন্য যে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারও দৃষ্টিই আমাদের দিকে পড়েনা।

আমরা আমাদের সংগ্রামী ভাই, জেলা ছাত্রলীগের সুভাগ্যের বরপুত্র ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমদ জয় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছি।

অবহেলা না আমরা অধিকার চাই,
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

পাঠকের মতামত