প্রকাশিত: ২৮/১০/২০১৮ ৭:৩৬ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

কক্সবাজার সাগর পাড়ের হোটেল বে-টাচ হোটেল থেকে শুক্রবার আটক ১৭ জন জামায়াতশিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন সহ নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর আটক ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নাশকতা সৃষ্টি ও গতকাল চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্ন্ট্যের সমাবেশে যোগদানের লক্ষ্যে কক্সবাজার সাগর পাড়ের একটি হোটেলে শুক্রবার গোপন বৈঠক করেছিলেন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ওই হোটেল থেকে ১৭ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে
আটক করে র‌্যাব। জামায়াত শিবিরের ১৭ জন আটকের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এই ঘটনার নেপথ্যের কাহিনী অনুসন্ধানে জানা গেছে অনেক ঘটনা। আর এ ঘটনার নেপথ্যে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে উখিয়া-টেকনাফের এক বিতর্কিত নেতা। অভিযোগ উঠেছে ওই নেতা একদিকে নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থ এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্যই করেছেন এমন ঘটনা। মূলত জামায়াতের এক বিতাড়িত নেতার যোগসাজসেই স্বদলীয় ১৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আর এতে করে জামায়াতের ভিতরও যে অভ্যন্তরীল দ্বন্ধ ( যা সাধারণত বাইরে প্রকাশ হয়না) সংঘাত রয়েছে তারও প্রমাণ মিলল।
জানা গেছে, ওই নেতা কোটবাজারের জামায়াত-শিবির পরিচালিত অরিজিন হাসপাতালের সাবেক একজন পরিচালকের (জামায়াত কর্মী) যোগসাজসে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। জামায়াতের ওই নেতা কোটবাজারের অরিজিন হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত হয়ে টেকনাফে ওই বিতর্কিত নেতার সহযোগিতায় নতুন করে টেকনাফে একটি হাসপাতাল করার কাজ শুরু করেন। এমন খবর পেয়ে কোট বাজারের অরিজিন হাসপাতালের বর্তমান পরিচালকগন টেকনাফে অরিজিন হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখা স্থাপনের জন্য চিন্তাভাকনা শুরু করেন।
কোটবাজার অরিজিন হাসপাতালের পরিচালক জামায়াত নেতাকর্মীরা টেকনাফে নতুন করে একটি হাসপাতাল স্থাপনের জন্যই হোটেলটিতে বৈঠক করছিলেন। এই বৈঠকের খবর পেয়ে যান অরিজিন হাসপাতালের বিতাড়িত জামায়াত নেতা। যিনি টেকনাফের বিতর্কিত নেতার এখন ব্যবসায়িক পার্টনার। নেতাকে জামায়াত নেতা বুঝাতে সক্ষম হন যে, টেকনাফে নেতার হাসপাতাল করার আগে যদি কোটবাজারের অরিজিন হাসপাতাল টেকনাফে দ্বিতীয় শাখা স্থাপন করতে পারে তাহলে তাদের ব্যবসা লাটে উঠবে।
নেতা এমন খবর পেয়ে কক্সবাজারের হোটেলে গোপন বৈঠক এবং নাশকতার পরিকল্পনার খবর চাওর করেন। এর পরই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও খবরটি পেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেন। জামায়াত নেতা কর্মীদের আটকের ফলে একদিকে টেকনাফের ওই নেতা এবং জামায়াতের অরিজিন হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত জামায়াত নেতা উভযেই ব্যবসায়িক লাভবান হয়েছেন। সেই সাথে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠকের খবর দিয়ে তাদের আটকের ব্যবস্থা করে বিতর্কিত নেতা রাজনৈতিক ফায়দাও লুটেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কেননা ওই নেতার বিরুদ্ধে বরাবরই অভিযোগ রয়েছে-তিনি জামায়াত-শিবির সহ বিএনপি ঘরানার লোকজনকে নিয়েই এলাকায় আলাদা একটি বলয় সৃষ্টি করে চলেছেন। এ ঘটনার মাধ্যমে জামায়াত-শিবির-বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে নেতার সম্পর্ক নেই প্রমাণের উদ্দেশ্যই মূলত কাজ করেছে বলে বলা হচ্ছে। তবে পুলিশ বরাবরই দাবি করে আসছেন,আটক জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা হাসপাতালের এজিএম বৈঠকের নামে নাশকতার চেষ্টার বৈঠকে বসেছিল।

পাঠকের মতামত

উখিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করতে চাই – জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিবৃতি

গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রেক্ষাপটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে বিবৃতি দিয়েছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ...