প্রকাশিত: ২০/০২/২০১৭ ১১:২১ এএম

নিউজ ডেক্স ::

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি-সংক্রান্ত বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ইয়াংঘি লি এখন ঢাকায়। পাঁচ দিনের সফরে রোববার তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছান।
আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে ইয়াংঘি বৈঠক করবেন। এরপর সোমবার কক্সবাজার গিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তার সফরের শেষ দিকে তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে তার পর্যবেক্ষণ জানাবেন।
ইয়াংঘি লি মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে এরই মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যসহ দেশটির বিভিন্ন স্থান সফর করেছেন।
গেল বছরের ৯ অক্টোবর সীমান্ত চৌকিতে হামলায় মিয়ানমারের ৯ জন ‘বর্ডার গার্ড পুলিশ’ (বিজিপি) নিহত হন। এর জেরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলমান অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে নিপীড়ন চালায়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে নির্বিচারে রোহিঙ্গাদের হত্যা, তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ করা হয়। এ সময়ে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমার গত শুক্রবার ওই সেনা অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনারের দফতর থেকে কিছু দিন আগে একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার সফর করে সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে ৩ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতনের চিত্র ফুটে ওঠে। এতে গোটা বিশ্বে রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলনেত্রী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির সরকারকে ব্যাপকভাবে নাড়া দেয়।

জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে লি বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে সামরিক নিরাপত্তা অভিযানের পরিসমাপ্তি ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। তবে গত মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত হাইকমিশনারের দফতরের একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজার গিয়ে ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘনের যে অভিযোগ রেকর্ড করেছে তা আমরা ভুলতে পারি না।
জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ইয়াংঘি লি গত ৪-৫ মাসে যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ এসেছেন; তাদের প্রতিই বিশেষ ফোকাস দেবেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। লি বলেন, এই আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে আমার পক্ষে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সহায়ক হবে। তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ১৩ মার্চ একটি নতুন প্রতিবেদন জমা দেবেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল দক্ষিণ কোরিয়ার অধ্যাপক ইয়াংঘি লিকে ২০১৪ সালে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি-বিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার নিযুক্ত করেছে। তিনি যেকোনো সরকার কিংবা সংগঠনের চেয়ে স্বাধীন এবং তিনি তার ব্যক্তিগত ক্ষমতাবলে কাজ করে থাকেন।

পাঠকের মতামত

মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, ঈদের আগেই দেশে ফিরতে পারেন নাবিকরা

অপহরণের প্রায় মাসখানেকের মাথায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালীয় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ’র ২৩ বাংলাদেশি ...

আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ...