প্রকাশিত: ২১/০৮/২০১৮ ১০:৩৫ পিএম

ছাত্র জীবনের সেই সোনালী দিন গুলোকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার স্বপ্ন পুরুষ ছাত্রলীগ নেতা জিসান।যখন থাকার কথা ছিল ক্লাস রুমে অথবা ক্যাম্পাসে কোন প্রেমিকার পাশে বসে ভালবাসার রঙিন স্বপ্নের জাল বুনা কিংবা লাইব্রেরীতে বসে অধ্যয়ন করার।কিন্ত ছাএলীগের প্রেমে পরে যখন ক্লাস রুমে থাকার কথা ছিল তখন ছেলেটা থাকত ছাত্রলীগের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কোন মিছিলে অথবা সংগঠনের কাজে ক্লাস ডায়েচে অথবা কোন সাধারণ ছাত্রদের কোন সমস্যা সমাধানের চেষ্টায়।ক্লাস শেষে যখন প্রেমিকের হাতে হাত রেখে চোখে চোখ রেখে হারিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তখন জিসান থাকত নেতা-কর্মীদের নিয়ে আড্ডা বা কোন চায়ের দোকানে ছোট ভাইদের চা খাওয়াইতে ব্যস্ত ।আর যখন থাকার কথা ছিল রিডিং রুমে অথবা লাইব্রেরীতে তখন থাকত কোন সিনিয়র নেতাদের সাক্ষাতের অপেক্ষায়। ছাত্রলীগের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে থাকার কারনে তো ছিল হামলা মামলা।ছাত্রলীগের নেতাদের সংগঠন করতে টাকা পয়সার প্রয়োজন নেই ।শুধু নেতাদের হুকুমে কাল কেন্দ্রীয় নির্দেশে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মিছিলে সব চেয়ে বর মিছিল আনতে হবে।ছাত্রলীগের মিছিলে বর শোডাউন দিতে হবে। নেতা কর্মীদের সিঙ্গাড়া চা খাওনোর জন্য দরকার পাচ হাজার টাকা। কোথায় পাবে টাকা?তখন জিসান কেবল নবম শ্রেণীর ছাত্র। মা বাবাকে বলতে হবে মোবাইল টি ভেঙে গেছে অথবা অসুখ হয়েছে ডাক্তার দেখানো লাগবে অথবা মায়ের আচলে বাধা বাজার থেকে অল্প অল্প ঝোমানো টাকা চুরি করে অথবা বড় অাপুর কাছে হাত পাতা। বাবা মা স্বপ্ন দেখছিল ছেলে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে মস্ত বর অফিসার।মা বাবার কাছ থেকেই প্রতি মাসেই বই কেনার কথা বলে অথবা সামনে পরীক্ষা আর দুইটা প্রাইভেট বেশি পরা লাগবে। মা বাবার সাথে মিথ্যা কথা বলে ঘুমধুম ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করে অাজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সেদিনের ছোট্ট জিসান।যারা আন্দোলন সংগ্রামে থাকত সবার অাগে। ঘামের গন্ধ এখনও রাজ পথে পাওয়া যায় । ছেলেটি জীবনের সবচেয়ে মধুর সময় ব্যয় করেছেন দলের জন্য। নিজের জীবনের লক্ষ্য তুলে দিয়েছেন ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে ।মা বাবার স্বপ্ন কে মিশিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের প্রতিটি শ্লোগানে। এমন বিষয় ছিল অহরহ। যে, কোন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি পড়াশুনাটা কোন রকমে চালিয়ে গেলেও পরীক্ষা দিতে পারেনি অনিবার্য কারণ বশতঃ। চট্টগ্রামের সবচেয়ে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও…পড়াশুনা শেষ না করে চলে এসেছিলেন এলাকায় চিরচেনা নেতা-কর্মীদের টানে। অন্যথায় পরীক্ষা হলে যেতে পারলেও পূর্বতন অধ্যায় অধ্যয়নের সময় পায়নি। সবার একটা কথা মনে রাখা উচিত ঘুমধুম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ অাজ ৯টি ওয়ার্ডে চাঙ্গা এটাই জিসানের প্রাপ্তি। অর্থাৎ যাদের ত্যাগ আর ঘামের বিনিময়ে ছাত্রলীগ আজও মহিরুহু। তাদের মুল্যায়ন থাকাটাই জরুরী। তবে কোন কথা নেই। সু-সময়ের মৌমাছিরা এখনো উড়ে বেড়ায় সম্মুখ পানে! অার কত দেরী?

পাঠকের মতামত