প্রকাশিত: ২৪/০২/২০২১ ১০:১৭ এএম

বিশ্ব বিনোদন খেলা জীবনযাপন ইসলামী জীবন ভাইরাল
সম্প্রতি অতিমাত্রায় বেড়েছে বায়ু ও শব্দদূষণ। করোনার কারণে দীর্ঘদিন সাধারণ ছুটির পর সব কিছু খুলে দেওয়া হলে অনেকে ভ্রমণসহ নানা কারণে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ পর্যটন শহর কক্সবাজারে। সম্প্রতি বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের করা প্রথমবারের মতো (ক্যাপস) এক জরিপে দেখা গেছে, কক্সবাজারে বায়ুদূষণ বেড়েছে তিন থেকে আট গুণ। একই সঙ্গে ওই এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ ডেসিবেল বেশি। আর চট্টগ্রামে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে দেড় থেকে দুই গুণ বেশি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অতিমাত্রায় ভ্রমণসহ বনায়ন ধ্বংস, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

দেশজুড়ে প্রথমবারের মতো বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ে কাজ করছে ক্যাপস। তাদের দেওয়া তথ্য (ফেব্রুয়ারি মাস) মতে, কক্সবাজারে বায়ুদূষণ তিন থেকে আট গুণ বেড়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মান হলো ৬৫ মাইক্রোগ্রাম পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ পার কিউবিক মিটার। এই হিসাবে দেখা গেছে, কক্সবাজারের ৭০টি স্থানে দূষণের মাত্রা পাওয়া গেছে গড়ে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৩০০ মাইক্রোগ্রাম পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ পার কিউবিক মিটার, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই একই এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা পাওয়া গেছে ৮৫ থেকে ৯৫ ডেসিবল, যেখানে বাংলাদেশের শহর অঞ্চলগুলোতে ৫০ থেকে ৬০ ডেসিবল শব্দ থাকার কথা।
ক্যাপসের পরিচালক ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে এই এলাকার ৭০টিরও বেশি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। তাতে দেখেছি, কক্সবাজারে বায়ুদূষণের মাত্রা স্ট্যান্ডার্ড মানের চেয়ে তিন থেকে আট গুণ বেশি। আর শব্দের মাত্রা পেয়েছি ৮৫ থেকে ৯৫ ডেসিবল, যা থাকার কথা ছিল ৫০ থেকে ৬০ ডেসিবল।’

তিনি আরো বলেন, এই দূষণের জন্য অনেকাংশে দায়ী পর্যটকের আগমন। তারা এলে যেমন যানবাহনের গতি বাড়ে, পাশাপাশি ডিজে গানের মধ্য দিয়ে শব্দদূষণও ছড়ায়।

চট্টগ্রামে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের প্রবণতা বেশি : চট্টগ্রাম শহরে শব্দ ও বায়ুদূষণের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। নগরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণভাবে শব্দের গ্রহণযোগ্য মানমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই গুণ বেশি। এর পেছনে অন্যতম কারণ হলো শহর এলাকায় ও বিপণিবিতানগুলোর সামনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার বেশি। পাশাপাশি এই শহরে স্বাভাবিক মানমাত্রার চেয়ে প্রায় দুই থেকে আট গুণ বেশি দূষিত হচ্ছে বায়ু। সেই হিসাবে বায়ুর স্বাভাবিক মানমাত্রা হলো ৬৫ মাইক্রোগ্রাম পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ পার কিউবিক মিটার। বন্দরনগরীতে তারা দূষণের মাত্রা পেয়েছে গড়ে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম থেকে ৩০০ মাইক্রোগ্রাম পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ পার কিউবিক মিটার।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...