প্রকাশিত: ১৬/০৪/২০১৮ ৭:০৩ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:০৮ এএম

প্রেম থেকে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ধারণ করে ব্ল্যালমেইলের পর বিয়ে করে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে হয় খুন।

এ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায়।

জি নিউজের খবর, বছর দুয়েক আগে কালনার চাড়াবাগানের বাসিন্দা সঞ্জিত পোদ্দারের সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু সঞ্জিতের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি ওই তরুণীর পরিবার। তারা এই সম্পর্কে আপত্তি জানায়। অভিযোগ, এরপরই ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেইলিং করা শুরু করে সঞ্জিত। সম্পর্কের চলাকলে ওই তরুণীর সঙ্গে বেশকিছু ঘনিষ্ঠ ছবি তুলেছিল সঞ্জিত। অভিযোগ, বিয়ে না করলে সেইসব ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে সঞ্জিত। বাধ্য হয়ে বাড়ির আপত্তি সত্ত্বেও চাপে পড়ে সঞ্জিতকে বিয়ে করেন তিনি।

কিন্তু বিয়ের পরই সঞ্জিত ধরেন ভিন্ন মূর্তি। প্রথম কয়েক মাস মোটের উপর ভালো কাটলেও, তারপর থেকেই শুরু হয় যৌতুকের জন্য অত্যাচার। বাবার বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য ওই তরুণীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে সঞ্জিত ও তার বাড়ির লোকেরা।

এভাবেই বিয়ের ২ বছর কেটে যায়। ইতোমধ্যে তাদের ঘর আলো করে আসে একটি সন্তানও। কিন্তু, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের লালসা ও অত্যাচারের মাত্রাও দিনে দিনে বাড়তে থাকে। ফ্রিজ, এসি, গহনা প্রভৃতি নিত্য নতুন হরেক সামগ্রীর দাবি, আর তা দিতে না পারলেই শারীরিক নির্যাতন।

অভিযোগ, এরপরই শনিবার ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সঞ্জিত ও তার বাড়ির লোকেরা। যদিও তাদের দাবি, সে আত্মহত্যা করেছে। তারাই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাকে খুনই করা হয়েছে।

ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পাঠকের মতামত