প্রকাশিত: ০৫/০৪/২০২০ ৭:১৪ এএম

কক্সবাজারে টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংক্রমণ হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।

দেশে এখন ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছেন। শিবিরগুলোতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪০ হাজার জন বাস করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পরামর্শ যা কোনোভাবে তারা মানতে পারছেন না।

এদিকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কাউকে করোনায় শনাক্ত করা হয়নি। ১০ বর্গফুটের মতো কোনো কোনো খুপড়িতে তারা ১২ জনও থাকে। তাই এ বিষয়ে উদ্বিগ কর্মকর্তারা।

শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেছেন, আমরা তাদের সুরক্ষা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। কিন্তু একবার সেখানে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তাদের রক্ষা করা আমাদের জন্য কঠিন হবে।

তিনি বলেন, ৩৪টি ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এমন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কাউকে যেখানে একজন থেকে আরেকজনকে আলাদা করাই কঠিন। সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইন মানা দুরূহ।

কক্সবাজারের প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, কোনো জরুরি কাজে আসতেও বিদেশি নাগরিকদের ক্যাম্পে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাদেরকে সীমিত পরিসরে কাজ চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ক্যাম্পের ভিতরে ২০০ বেডের একটি আধুনিক হাসপাতালের কাজ চলছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাও টেকনাফ ও উখিয়া ক্যাম্পের বাইরে অতিরিক্ত ১২শ বেডের ব্যবস্থা করছে। ক্যাম্পগুলোতে করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাজার জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) নতুন করে এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন আরো পাঁচজন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারোর মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন। মৃত ছয়জন।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...