প্রকাশিত: ১৪/০৩/২০১৯ ১১:৫৪ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::
কয়েক বছর বন্দি থাকা কয়েকশ’ রোহিঙ্গাকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব। রোববার (১০ মার্চ) তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবৈধ অভিবাসী-বিরোধী অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছিল। দুই বন্দি ও একজন অধিকারকর্মীর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মিডল ইস্ট আই।

বন্দিদের মুক্তির এক ফুটেজের বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা তাদের জিনিসপত্র ভর্তি ব্যাগ নিয়ে জেদ্দাহর শুমাইসি কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছে। সেখানে কয়েক হাজার অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবে রোহিঙ্গাদের একটি বড় আকারের জনসংখ্যার বসবার রয়েছে। ১৯৭০ সালে বাদশাহ ফয়সালের শাসনামলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক নির্যাতন থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে যায়। তাদেরকে সেখানে আশ্রয় দেওয়া হয়। সেখানে কয়েক প্রজন্ম ধরে আবাসন অনুমতিসহ বহু রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে। অন্যান্যরা পরবর্তীতে ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছে জীবিকার সন্ধানে।

কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চালানো অভিযানে আটক হয় কয়েকশ’ রোহিঙ্গা। এদের অনেককে আটকের কয়েকদিনের মধ্যেই ফেরত পাঠানো হয়। অনেক রোহিঙ্গাকেই বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ সময় ধরে আটক না রাখার নীতিমালা অনুসরণ করছে। তবে তাদেরকে মিয়ানমারেও ফেরত পাঠাচ্ছে না নির্যাতনের আশঙ্কায়। পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় দেশগুলোতে।

শুমাইসি কারাগারের রোহিঙ্গা বন্দিরা জানিয়েছে, সেখানে আটক থেকে অনেকের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ মারাও গেছে। জানুয়ারিতে জাতিসংঘের সতর্কতা না মেনে কয়েক এক ডজনের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে সৌদি আরব। এছাড়া সম্প্রতি ৩০০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য রিয়াদ চাপ দিচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে।

পাঠকের মতামত