প্রকাশিত: ২৪/১১/২০২০ ৩:০৯ পিএম


ক্ষেতেই আগাম আলু কেজিপ্রতি বিক্রি ৮০ টাকায়
নীলফামারীতে আগাম আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। এখানকার আগাম আলু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

আগাম আলু চাষের জন্য বিখ্যাত নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ ও জলঢাকা উপজেলা। দেশের আগাম আলুর সিংহভাগ উৎপাদন হয় এখানে। আগাম আমন ধান কর্তনের পর এখানকার কৃষকরা একখণ্ড জমিও পতিত রাখেন না। মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উৎপাদিত সেভেন গ্র্যানুলা জাতের আগাম আলু চাষ করেছেন এখানকার কৃষক।

মাঠে এখন তাই আগাম আলু তোলার ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। শুরুতে দাম ভালো পাচ্ছেন আলু চাষিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে একদিকে চলছে আলু উত্তোলনের কাজ, অন্যদিকে কেউ কেউ মৌসুমি আলু লাগানোর কাজেও ব্যস্ত, আবার কেউবা ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি গ্রামের আলু চাষি স্বপন জানান, ৫০ শতক জমিতে আগাম আলু উৎপাদন করেছি। পেয়েছি ৭৮০ কেজি, যা ৮০ টাকা কেজি দরে ফসলের মাঠেই বিক্রি হয়েছে। আগাম আলু আবাদে ২০ হাজার খরচ টাকা খরচ হলেও এই আলু বেচে পেয়েছি ৬২ হাজার ৪০০ টাকা। এতে লাভ হয়েছে ৪২ হাজার ৪০০ টাকা।

জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের খালিশা খুটামারা গ্রামের নুরুজ্জামান (৪০) বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে এ বছর আলু চাষ করেছি। আলুর বয়স এখন ৫৫ দিন হয়েছে। আরও ১০ দিন পড়ে আলু তুলব। এবার আলু দাম বেশ ভালো। তিনি বলেন, দুদিন আগে দেড় বিঘা জমির আলু তুলে বিক্রি করেছি ৯০ টাকা কেজি দরে। ওই আলু একদিনের ব্যবধানে কমেছে ১০ টাকা কেজিতে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলার পোড়াকোট গ্রামের আলু চাষি লুৎফর রহমান (৪২) বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে এবার আলু চাষ করেছি। আগাম আলুর দাম ভালো থাকায় এক বিঘা জমির আলু বিক্রি করেছি ৮৫ টাকা কেজি দরে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ক্ষেতে এসে নগদ টাকায় আলু নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ী রোস্তম আলী জানান, নীলফামারীতে আগাম আলু উঠতে শুরু করেছে। প্রথমদিকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও এখন আলুর প্রকার ভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হচ্ছে। আগাম আলু ট্রাকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অন্যান্য জেলার আগেই নীলফামারীতে আগাম আলু উঠে এবং আগাম বাজার ধরে লাভবান হন এখানকার কৃষকরা। চলতি বছরে এ জেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রতি হেক্টরে ২৫ দশমিক ৩৬ টন। এ জেলায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগাম আলু উঠবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...

লাইসেন্সের কোন কাজ নেই, টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না!- উখিয়ার ব্যবসায়ী সাদ্দাম

বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই কথিত লেভেল লাগিয়ে অবৈধভাবে ব্যাটারির পানি বিক্রি করেন উখিয়ার সাদ্দাম মটরসের স্বত্তাধিকারী ...