প্রকাশিত: ১৫/০৭/২০১৮ ১১:০২ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:৪০ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
সব রূপকথারই একটা শেষ থাকে। মস্কোতে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়া তো খেলতে নেমেছিল তার আগে রূপকথার গল্প লিখেই। সেই গল্প হয়তো হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসনের কিংবদন্তি রূপকথাকেও হার মানাতে পারতো লুঝনিকির স্টেডিয়ামে ৪৫ লাখ মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপ শিরোপাটা জিতলে, ৫৯ মিনিটে ৪-১ গোলে পিছিয়ে থেকে তারপর সেটা করতে পারলে। কিন্তু ১৯৯১ সালে এই দেশটির জন্ম। আর ফ্রান্স ১৯৯৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ফুটবল ইতিহাসের শুরু থেকেই ফুটবলের সাথে সমীহের সাথে তারা। তাই এবারের দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের শেষটায় ক্রোয়াটদের কাঁদিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ব ফুটবলের রাজা ফরাসিরা। ২০ বছর পর আবার তারা বিশ্ব সেরা। ক্রোয়াট রূপকথার ইতি ৪-২ গোলে ফাইনালে হেরে।

ম্যাচের শুরু ক্রোয়াটদের আক্রমণে। কিন্তু ফুটবলদেব তাদের পক্ষে ছিলেন না বুঝি। নাকি টানা তিন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে খেলে ফাইনালে ওঠার ক্লান্তি? নাকি এমন বিশ্ব আসরের ফাইনালে আগে কখনো না খেলার অনভিজ্ঞতা কে জানে? প্রথমে আত্মঘাতী গোলে ১৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ২৮ মিনিটে সমতা আনে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পেনাল্টি গোলে ৩৯ মিনিটে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া। ওই লিড নিয়ে বিরতি থেকে ফিরে আবার আক্রমণ শুরু তাদের। কিন্তু অমিতা প্রতিভাবান ফ্রান্স দল ডিফেন্স ও আক্রমণে সমান সেরা এই আসরে। সনেই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়ে ৫৯ থেকে ৬৫ মিনিটে ৪-১ গোলে এগিয়ে গেল ফ্রান্স। এরপর তাদের কি হারা মানায়? তাতে কি বিশ্বকাপেরও অপমান হয় না? এমনটা হলো না। ৬৯ মিনিটে আরেকটি গোল শোধ করতে পারলেও ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হলো ক্রোয়াটদের চোখের জলে এবং নতুন এক ফরাসি বিপ্লবে। ২০১৬ ইউরো বিশ্বকাপের ফাইনালে হারা ফ্রান্স ২০১৮ অঘটনঘটনপটিয়সী বিশ্বকাপ থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

পাঠকের মতামত