প্রকাশিত: ০৫/১১/২০১৮ ৯:২৫ পিএম , আপডেট: ০৫/১১/২০১৮ ৯:২৬ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
কক্সবাজারের টেকনাফের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, টেকনাফ নয়াপাড়া ক্যাম্পের আই ব্লকের এক নম্বর রুমের গৃহকর্তা (এমআরসি-৫৩৪৩ ও শেড-৫৫৮) মৃত হোসেন আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫০), তার স্ত্রী তৈয়বা বেগম (৪০) ও ছেলে হোসেন জোহার (১৬)। আজিজুল হক আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার সোর্স হিসেবে কাজ করতেন বলে প্রচার রয়েছে।

নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. গোলাম আজম জানান, নয়াপাড়া ক্যাম্পে ডাকাতের গোলাগুলির খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে রোহিঙ্গা একই পরিবারের ৩ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরো জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত নুরুল আলম ও মোহাম্মদ সাদেকের নেতৃত্বে অস্ত্রধারীরা নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকের বাসিন্দা আজিজুল হকের ঘরে হানা দেয়। এসময় বাড়িতে থাকা লোকজন শোর চিৎকার দিলে অস্ত্রধারীরা তাদের উপর গুলি বর্ষণ করে। এতে একই পরিবারের তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসছে দেখে হামলাকারিরা ফাঁকাগুলি করে ভীতি সঞ্চার করে পাহাড়ের দিকে ঢুকে পড়ে। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ক্যাম্পের ভেতরে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। তাদের একেক জনের শরীরে দুই-তিনটি গুলি লাগার চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, গুলিবিদ্ধ আজিজুল হক আইনশৃঙ্কলাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে আসছিল। আর বেশ কিছুদিন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা জিয়া নামে এক অপরাধীকে আইনশৃংখলাবাহিনীর কাছে ধরে দিয়েছিলেন আজিজ। এ অভিযোগে সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারনা করছেন রোহিঙ্গা নেতারা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি, হামলাকারিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, নব্বই দশক থেকে খন্ড খন্ড ভাবে আসা কয়েক লাখ রোহিঙ্গা ছাড়াও গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে প্রাণে বাঁচতে এক সাথে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অশ্রয় নিয়েছে। এর আগে আরও চার লাখের বেশিসহ বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১১ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। আর এরা কোন না কোন অপরাধ সংগঠিত করছে ক্যাম্পগুলোতে। ফলে সাধারণ রোহিঙ্গা ছাড়াও স্থানীয় নিরহ লোকজনের মাঝে আতংক, উৎকন্ঠা বিরাজ করছে প্রতিনিয়ত।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...