প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০১৮ ৩:১১ পিএম

উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়া-টেকনাফে আশ্রীত রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় হতদরিদ্রদের মাঝে কোরবানির মাংস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়ায় এবারের কোরবানির পশুর বাজারে রোহিঙ্গাদের প্রভাব পড়েছে।

পশু সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতি বছর উখিয়ায় ১৫ হাজার পশু কোরবানি দেয়া হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার, দেশি-বিদেশি দাতা গোষ্ঠী ও এনজিও সংস্থা গুলো কোরবানির মাংস সরবরাহের জন্য পশু ক্রয় করার কারণে মাজারি সাইজের পশুর দাম একটু বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা দাবি, বড় সাইজের গরুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তারা বলছে রোহিঙ্গাদের মাংস সরবরাহ করলেও পশুর কোন সংকট হবে না। উপরন্ত বিপুল চাহিদার কারণে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে পশু উৎপাদনে স্থানীয়রা আরও উৎসাহিত হবে।

জাতি সংঘের তথ্য অনুযায়ী উখিয়া-টেকনাফে আশ্রীত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭ জন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৭/৮শ পরিবারের মধ্যে পরিবার পিছু ৫ কেজি করে মাংস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ২ শতাধিক গরু এনজিওরা ক্রয় করে তাকে অবহিত করেছে। বাদ বাকি গরু গুলো বিভিন্ন হাটবাজার থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গাদের মাঝে সুষ্ঠু ভাবে গরুর মাংস বিতরনের জন্য উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ৩০ জন ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।

রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত প্রায় ১২ হাজার গরু ক্রয় করা হলে উখিয়ায় পশু সংকটের কোন সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা মো: সাহাব উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে উখিয়ার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে ও ছোট বড় ঘরে ঘরে গরুর খামার যে গরু লালন পালন করা হয়েছে এসব গরু বাজারে উঠবে। তাই এখানে গরু সংকটের কোন আশঙ্কা নেই। উপরন্ত বিপুল চাহিদার অজুহাতে খামারিরা লাভবান হলে বাণিজ্যিক ভাবে পশু লালন পালনকারি খামারির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। এতে বেকার সমস্যা সমাধান হবে।

গত শনিবার উখিয়া গরুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, এনজিওরা মাজারি সাইজের গরু ক্রয় করছে বেশি। গরু ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ, শামশুল আলম ও ফজল করিম জানায়, এনজিওদের প্রভাবিত করে গুটি কয়েক দালাল চক্র গরু লেনদেন করার কারণে মাজারি সাইজের গরুর দাম বেড়েছে। তবে বড় সাইজের গরুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের জানান, গরুর বাজারে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...