প্রকাশিত: ১৩/০৪/২০১৭ ৭:৩০ এএম

গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে তরমুজের জুড়ি নেই। এই ফলে শতকরা প্রায় ৯২ ভাগ পানি রয়েছে। তাই তরমুজ খেলে সহজেই পানির তৃষ্ণা মেটে। শুধু আকার-আকৃতিতে তরমুজ বড় নয়, এর গুণের ভাণ্ডারও কিন্তু সমৃদ্ধ। এতে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম এবং ক্যারোটিনয়েড প্রভৃতি নানা উপাদান রয়েছে, যা হার্ট, কিডনি সুস্থ রাখতে এবং শরীর ঠান্ডা রেখে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তবে তরমুজ বেশি খেলে কিংবা ভুল সময় খেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। শরীর ঠান্ডা রাখে বলে অনেকেই রাতে তরমুজ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই স্বাস্থ্য সচেতনতায় রাতে তরমুজ না খাওয়াই ভালো।

এবার জেনে নিন কেন রাতে তরমুজ খাওয়া উচিত নয়-

সহজে হজম হয়না

তরমুজ সহজে হজম হয় না। আবার হজমেও সাহায্য করে না। তাই রাতে তরমুজ খেলে ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম হতে পারে বা পরদিন সকালে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। রাতে যেহেতু আমাদের পরিপাক ক্রিয়া ধীর গতিতে হয়, তাই মিষ্টি ও অ্যাসিডিক খাবার রাতে না খাওয়াই ভাল।

ওজন বাড়ে

তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ন্যাচারাল সুগার থাকে। ফলে রাতে তরমুজ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বার বার প্রসাব লাগে

তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ জল থাকার কারণে রাতে বার বার প্রস্রাব লাগতে পারে। ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এতে করে পরের দিন আপনাকে অনেক ক্লান্ত দেখায়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা

আয়ুর্বেদেও রাতে কোন ফল বা তরমুজ খেতে বার‌ণ করা হয়েছে। রাতে ফল খেলে ডায়েরিয়া, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হতে পারে।

এক্ষেত্রে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সকাল বা বিকালের দিকেই তরমুজ খাওয়ার আদর্শ সময়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এর ফলে তরমুজ থেকে শরীর খারাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে। জল থেকে তুলে তরমুজ টাটকা খাওয়াই ভাল। অনেকেই আবার তরমুজ কেটে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে চান। গরমে খেতে ভাল লাগলেও ফ্রিজে রাখা তরমুজ থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এক্ষেত্রেও সাবধান হোন।

পাঠকের মতামত

একটি পেঁয়াজের ওজন ৯ কেজি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ ফলাতে সক্ষম হয়েছেন ব্রিটিশ এক কৃষক। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ...