প্রকাশিত: ১৪/১০/২০২১ ৬:২৭ পিএম

কুমিল্লার একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার অভিযোগ ওঠার ঘটনায় নিজের অবস্থান তুলে ধরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা, প্রসিদ্ধ আলেম মিজানুর রহমান আজহারী।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে তার ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “কুমিল্লা শহরে অবস্থিত নানুয়ার দিঘীর পাড়—এটি আমার অতি পরিচিত এবং প্রিয় জায়গা। দেশে আসলেই নানুয়ার দিঘীর পাড়ে বিকেল বেলা আমি নিয়ম করেই হাঁটতাম। দিঘীর চারপাশে হিন্দু মুসলিম মিলেমিশে একাকার। যে যার ধর্ম কর্ম নিয়ে শান্তিপূর্ণ বসবাস। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশই দেখেছি সব সময়।”

আজকের ঘটনায় অবাক হয়েছেন উল্লেখ করে মিজানুর রহমান বলেন, “হিন্দু হোক চাই মুসলিম হোক, এ ধরনের কাজে কোনো প্রকৃত ধার্মিকের হাত থাকার কথা না। এটা বকধার্মিকের কাজ, যা কিনা স্পষ্ট উস্কানিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তিনি বলেন, “আজকের ঘটনাটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে ফায়দা হাসিলের একটা পরিকল্পিত নীলনকশা হতে পারে। এগুলো বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর চক্রান্তের অংশ। দু-এক বছর পর পর পূজার সময় এলেই কিছু দুষ্কৃতিকারী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করে।”

“আলহামদুলিল্লাহ, সেই অর্থে বাংলাদেশে কোনো দাঙ্গা নেই। রয়েছে ধর্মীয় সহাবস্থান এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এ সম্প্রীতিতে শকুনের চোখ পড়া অস্বাভাবিক কিছু না। তাই, সজাগ থাকতে হবে। ধীরে সুস্থে মোকাবিলা করতে হবে। ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি”, বলেন মিজানুর রহমান আজহারী।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লার একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন খবর ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে তারাও তোপের মুখে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়

পাঠকের মতামত