প্রকাশিত: ২২/০৭/২০১৮ ৯:৪৩ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১২:২৩ এএম

আবুল কাশেম,কুতুবদিয়া::
কুতুবদিয়ায় প্রত্যন্ত এলাকায় কাদা মাড়িয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোয়ারা বেগম। রবিবার(২২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কৈয়ারবিল কৈলস্যা ঘোনায় এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,রবিবার ওই গ্রামের মৃত জাগের হোছাইনের পুত্র দেলোয়ার হোসাইনের সাথে পার্শ্ববর্তী মালয়েশিয়া প্রবাসী মাহমুদুল করিমের মেয়ে কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তারের বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য আমান উল্লাহ আমান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক তিনি কাদা মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। এ সময় বিয়ের যাবতীয় আয়োজন চলছিল।পিএসসি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ি কনের বয়স ১৫ বছর হওয়ায় উভয় পক্ষকে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।পরে তাদেরকে অফিসে এনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না করার শর্তে মুচলেকা নেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মনোয়ারা বেগম জানান,শারমিন আক্তারের বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে স্থানীয়দের ইউপি সদস্য এর মাধ্যমে সংবাদ পান তিনি। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্য বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়া উভয় পরিবারের সদস্যরা প্রতিশ্রতি দিয়েছেন, পূর্ন বয়স না হওয়া পর্যন্ত তারা বাল্য বিয়ে দিবেন না।
বাল্য বিয়ে ও ইভটিজিং বন্ধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হবে এতে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। এসময় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ওমর ফারুক ,কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কপিল উদ্দিন,স্থানীয় ইউপি সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কলিস্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা আফিফাতুল খাওকাফ, সংবাদকর্মী আবুল কাশেম,গ্রামপুলিশ জহিরুল ইসলাম কহিনুর,নুরুল আলম মনুসহ বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিতি ছিলেন।

পাঠকের মতামত