প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০১৮ ৭:২২ এএম

বাঁশখালী প্রতিনিধি::
বাঁশখালী পৌরসভার আস্করিয়া পাড়া এলাকায় এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন মাস আগে এ কলেজ ছাত্রীর সাথে একই এলাকার এক প্রবাসীর বিয়ে হলেও এখনও পর্যন্ত তিনি তার পিতার বাড়িতে থাকতেন তার মায়ের সাথেই।

জানা যায় বাঁশখালী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড়ের আস্করিয়া পাড়া এলাকায় নুরুর ইসলামের কন্যা আমেনা বেগম (১৮)-এর সাথে একই এলাকার মনির আহমদের পুত্র প্রবাসী মো. ওবায়দুলের গত তিন মাস আগে বিয়ে হলেও এখনও পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে তুলে না নেয়ায় আমেনা মা-বাবার সাথেই থাকতেন স্বামীসহ । গতকাল শুক্রবার (১৭ আগস্ট) গভীর রাতে মায়ের অসুস্থতায় মাকে সাময়িক সেবা করে রাত দু’টার দিকে তিনি বাথরুমে যান। বাথরুম থেকে ফিরে আসতে দেরি হলে গিয়ে তাকে সেখানে বেহুঁশ অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে বাশঁখালী হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় অপমৃত্যুর ব্যাপারে জানিয়ে দেয়া হয়।

রাতে পরিবারের লোকজন লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়। এদিকে আজ শনিবার (১৮ আগস্ট) সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ও কলেজের শত শত লোকজন ও ছাত্র-ছাত্রী এসে থানায় জড়ো হয়। তারা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ অস্বীকৃতি জানায়। এলে উপস্থিত লোকজন বিক্ষোভ করতে চাইলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে লাশ ময়নাতদন্ত করতে পাঠায়।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘গভীর রাতে হাসপাতালে নিয়ে আসা আমেনা বেগমের গলায় এবং হাতে আঘাতের চিহ্ন থাকায় আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।‘

সরকারি আলাওল কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইদ্রিস জানান, মারা যাওয়া মেয়েটি কলেজের মানবিক বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, লাশ নিয়ে সন্দেহ হলে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেয়ের মা নুরুন নাহার বেগম বলেন, ‘ওমান প্রবাসী মো. ওবায়দুলের সাথে বিগত তিন মাস আগে আমার মেয়ের বিবাহের পর ওবায়দুল তার স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাড়িতেই থাকত। আমি নিজেও ডায়াবেটিস রোগী। আমার বাড়িতে শুধু আমরা তিনজনই ছিলাম। শুক্রবার গভীর রাতে আমার অসুস্থতা লাগলে আমি মেয়েকে ডাকি। তখন মেয়ে এবং মেয়ের জামাই দুজনই আমার কাছে আসে। তখন তারা দুজনই এসে আমাকে পানি খাওয়ায়। মেয়ের জামাই আমার পাশে বসা অবস্থায় মেয়ে বাথরুমে যায়। বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় আমি তাকে ডাকাডাকি করলে তার কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় আমি এবং তার স্বামী দুজনই গিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আমরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।’

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...