প্রকাশিত: ১৯/০৬/২০১৮ ৮:১৫ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৪৬ এএম

জে,জাহেদ চট্টগ্রাম বুরো:

কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ব্যাপক হয়রানীর অভিযোগে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান।

১৮জুন বিকাল সাড়ে ৩টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এর নির্দেশনায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় বিভাগীয় কমিশনার দায়িত্বে নিয়োজিত হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এটিআই জামশেদ এর সাথে কথা বলে জানতে চান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রজ্ঞাপন দেওয়ার পরও কেন যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

সুত্রে জানা যায়, এ বিষয়ে পুর্বে প্রকাশিত সরকারী প্রজ্ঞাপনটি ছিলো জনগণের ভোগান্তি লাগবের। কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের আবেদনে মুলত এ কার্যক্রম শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

কিন্তু ঈদের দু’দিন আগে থেকে হাইওয়ে পুলিশ কতৃক চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে জনগণ। যা বর্ননাতীত বলে জানান স্থানীয় যুবক নুরুল হক। এছাড়াও কর্ণফুলী , আনোয়ারা, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, চকরিয়ার অধিকাংশ জনগণ পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের রোষানলে পড়েছেন বার বার।

উপজেলার রিভারভিউ ক্লাবের সামনে বিভাগীয় কমিশনারকে এসব তথ্য জানান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী।

এছাড়াও সরেজমিনে লক্ষ্য করা যায়, সড়কে এখনো বিভিন্ন জায়গায় “পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি” লিখা সাইন বোর্ড ব্যবহার করছেন ।

বাংলাদেশের হাইওয়ে পুলিশের এমন দায়িত্বহীন আচরণ অবাক করেছে জনগণকে। কেননা এক কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে শিকলবাহা ক্রসিং এবং শিকলবাহা ওয়াই ক্রসিং ক্রমান্বয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আর কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো হাইওয়ে অরক্ষিত রেখেছেন যা অনেকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন।

তথ্যমতে, জনদূর্ভোগ লাঘবে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু হতে ওয়াই জংশন পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ৩ কিঃ মিঃ সার্বক্ষণিক সিএনজি ও থ্রী হুইলার যান চলাচলের অনুমোদন দিয়েছিলো মন্ত্রণালয়।

কিন্তু যান চলাচলের এ সিন্ধান্তকে হাইওয়ে পুলিশ বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে অযথা হয়রানি করছে বলে নানা অভিযোগ তোলেছে চালক ও যাত্রীরা।

যদিও এ সংক্রান্ত বিআরটিএ’র অনুমোদন ৩৫.০০.০০০০.৩২০.০৩৬.৬৫.১৭-৫৩ নং স্মারকে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে বিগত ৮ফ্রেবুয়ারি। তারপরেও কর্ণফুলী আনোয়ারার লক্ষ লক্ষ মানুষের জনদূর্ভোগ ভাবিয়ে তুলেছে জনপ্রতিনিধিদের।

কেননা দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাফিক ও সড়ক বিভাগের নানা জটিলতায় দুই উপজেলার মানুষের পথ চলাচলে ব্যাপক বাধা ও জটিলতার সম্মুখীন ছিলো বিধায়।

এ সমস্যা নিরসনে উক্ত সিএনজি ও থ্রী হুইলার তিন চাকার যান চলাচলে সেতু হতে তিন কিঃ মিঃ বৈধসীমা নির্ধারণ করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কিন্তু এরপরেও হাইওয়ে পুলিশের নানা হয়রানির অভিযোগ দৃিষ্ট কেড়েছে ভূমিপ্রতিমন্ত্রীর।

এ বিষয়ে কর্ণফুলি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা কর্ণফুলী উপজেলাবাসীর যাতায়াত প্রতিবন্ধকতা দুর করে শাহ আমানত সেতু থেকে ওয়াই ক্রসিং পর্যন্ত সিএনজি ও থ্রী হুইলার বাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি।

কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে শিকলবাহা হাইওয়ে পুলিশ সহযোগিতা না করে উল্টো হয়রানি করার মতো ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের অনুমোদনের পরও সিএনজি ও অটোরিক্সা চালকদের হয়রানি বন্ধে দ্রুত বিভাগীয় নিদের্শনা চেয়েছেন তিনি।

পাঠকের মতামত