প্রকাশিত: ১০/০৮/২০২০ ৯:৫৫ এএম

হুমায়ুন কবির জুশান (উখিয়া কক্সবাজার)
করোনার দুর্দিনে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উখিয়ার রাজনীতিবিদদের দেখা গেছে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াঁতে। মানুষের দুঃসময়ে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজা পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জাতীয় পার্টির অধ্যাপক নুরুল আমিন ভূট্রো ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক সোলতান মাহমুদ চৌধুরীসহ সালাহ উদ্দিন মেম্বার, ফরিদুল আলম কন্ট্রাকটারদের দেখা গেছে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দিবা-রাত্রি পরিশ্রম করতে। এ সময়ে অসুস্থজনিত কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি তেমন করে বেরোতে পারেননি। উল্লেখিত রাজনীতিবিদরা প্রকাশ্যে মানুষের পাশে দাড়াঁলেও গোপনে জামায়াত নেতৃবৃন্দরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও রত্নাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম ও পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী এবং উখিয়া উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশের বিশেষ টিম সার্বক্ষনিক অসহায় মানুষের সেবাই ছিলেন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি উখিয়ার রাজনীতিবিদরা প্রশংসনিয় ভূমিকা পালন করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দলীয় নেতা-কর্মীরা কাজ করেছেন। দলীয় প্রধানের দিকনির্দেশনায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় উখিয়ার রাজনীতিবিদরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারের ঘোষিত লকডাউন ঘোষণার পূর্বে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, পরবর্তী সময়ে লকডাউন কার্যক্রম নিশ্চিত করা, করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে থাকা লোকদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ক্যাম্পেইন। পাশাপাশি নিবেদিত প্রাণ পুলিশ বাহিনী রাত-দিন অক্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বিতরণ করেছেন ত্রাণ সামগ্রী। রমজান মাসে এতিম, প্রতিবন্ধী, ভাসমান ও ছিন্নমূল অনাহারী মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছেন ইফতার সামগ্রী। উখিয়ার রাজনীতির মাঠ সরগরম হতে শুরু করেছে। একদিকে পৌরসভার দাবিতে সোচ্ছার অন্যদিকে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এখন থেকে নড়ে চড়ে বসেছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাঠের রাজনীতি আর দলকে আরও সুসংহত করতে ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি নিজেদের অবস্থানও জানান দিতে পারছেন না। জামায়াত ইসলামী প্রকাশে সভা-সমাবেশ করতে না পারায় দলটি রাজনীতির মাঠে রয়েছে অনেকটাই নিরব-নিস্তব্ধ। দলীয় কোন কর্মসূচি না থাকায় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগও নেই তৃণমূলের কর্মীদের। এসব কারণেই রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শিবিরে ইফতার যে রকম

আব্দুল কুদ্দুস,প্রথমআলো রোববার বিকেল চারটা। কক্সবাজারের উখিয়ার প্রধান সড়ক থেকে বালুখালী আশ্রয়শিবিরে ঢোকার রাস্তায় দেখা ...