প্রকাশিত: ২৩/০৯/২০১৮ ৭:৫৫ এএম

কক্সবাজার প্রতিনিধি::

কক্সবাজার জেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে ২০২১ সালের মধ্যেই। এই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হওয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।

সরবরাহে কোনো ঘাটতি না থাকায় নির্বিঘ্নেই চলছে জেলায় বিদ্যুতের আলো। এ ছাড়াও সৌর বিদ্যুতের আলোতে আলোকিত হয়ে উঠেছে জেলার প্রতিটি সড়ক।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২১ সালের মধ্যেই প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। এ ছাড়াও চলতি বছর শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আসবে রামু উপজেলা। ২০১৯ সালে আসবে উখিয়া উপজেলা। ২০২০ সালে আসবে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা এবং ২০২১ সালে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে মহেশখালী উপজেলা।

জেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (সেবা) মুনতাসির মজুমদার জানিয়েছেন, গ্রাহক সেবার মান আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। লোডশেডিং কমে যাওয়ায় পল্লী বিদ্যুতের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতি মাসে অন্তত ৫ হাজারের অধিক সংযোগের জন্য আবেদন পড়ছে। কক্সবাজারে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৭২ মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুতে এখন কোনো ঘাটতি নাই। শুধুমাত্র একটি নতুন সাব-স্টেশন বদলে দিয়েছে পুরো চিত্র।

মহেশখালীতে কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসতে এ সময় হচ্ছে। তবে নতুন সংযোগ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহকদের সংযোগ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পণ্য সরবরাহকারি প্রগতি এন্টারপ্রাইজের পরিচালক সনজিত বৈদ্য জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ব্যবসার মধ্যে বিদ্যুৎ অপরিহার্য বিষয়। এখন প্রতিদিন অন্তত ২২/২৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি।

পল্লী বিদ্যুতের জিএম নুর মোহাম্মদ আজম মজুমদার জানিয়েছেন, পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপন দ্রুততর ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আশাকরি নির্ধারিত সময়ের আগেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত হবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...