প্রকাশিত: ০৯/০২/২০২০ ৫:৪০ পিএম

নিউজ ডেস্ক ::
কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবা আনতে ব্যবহৃত হচ্ছে মোটরসাইকেল। ‘মোটরসাইকেল গ্যাং’ নিয়ে লং ড্রাইভের আড়ালে পরিবহন করা হয় ইয়াবা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার মুজাফফরাবাদ এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ চার ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ছোটপুল জেলা পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক জানান, পটিয়ার মুজাফফরাবাদ এলাকা থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবাসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসছিল।

তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ ব্রিটিশ পাউন্ড ও ছয়টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

গ্রেফতার ‘মোটরসাইকেল গ্যাং’ এর সদস্যরা। গ্রেফতার চারজন হলো- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ শরীফপুর এলাকার মো. আবদুল মান্নানের ছেলে মোজাম্মেল হক (৩০), চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে মো. নুর নবী (২৪), সন্দ্বীপ উপজেলার কালাপানিয়া এলাকার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে হাসমত কবির শাকিল (২১) ও নোয়াখালীর চাটখিল নোয়াখোলা এলাকার মো. ইব্রাহিম খলিলের ছেলে জাহেদুল ইসলাম রাতুল (২২)।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, আমাদের কাছে সংবাদ ছিল কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আসছে। পটিয়ার দুইটি স্থানে চেকপোস্ট করা হয়। তিনটি মোটরসাইকেল করে তারা এসব ইয়াবা নিয়ে আসছিল। একটি মোটরসাইকেল সামনে ছিল যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখলে অপর দুইটি মোটরসাইকেলকে সতর্ক করতে পারে। কিন্তু কৌশলে আমরা তাদের গ্রেফতার করি।

তিনি জানান, গ্রেফতার মোজাম্মেল হক, মো. নুর নবী ও হাসমত কবির শাকিলের ব্যাগ তল্লাশি করে ৩৬ হাজার পিস ও জাহেদুল ইসলাম রাতুলের পকেট থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের কয়েকজন সহযোগী পালিয়ে যায়।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে মোটর সাইকেল গ্যাং হিসেবে লং ড্রাইভে যেত। এর আগেও তারা একই কায়দায় ইয়াবা নিয়ে এসেছে বলে জানতে পেরেছি।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...