প্রকাশিত: ১৯/০৮/২০১৮ ২:৫৭ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী ৫৭টি পশুর হাট বসেছে। এসব হাট থেকে চাহিদা অনুযায়ী ৮৪ হাজার পশু সংগ্রহ করবে জেলাবাসী। সেই লক্ষে হাটে পর্যাপ্ত গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মজুদ করেছে বিক্রেতারা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, সদর উপজেলায় সাতটি, রামুতে ছয়টি, চকরিয়ায় ১১টি, পেকুয়ায় ৪টি, উখিয়ায় ছয়টি, টেকনাফে সাতটি, মহেশখালীতে নয়টি ও কুতুবদিয়ায় সাতটি পশুর হাট বসেছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার। প্রায় ২ হাজার ১৪ জন খামারি বাজারে কোরবানির পশু তুলেছে। এবার পশু সংকট পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এর ফলে মিয়ানমার থেকে আমদানি পশুর প্রতি নির্ভরতা কমে যাবে।

জানা গেছে, কোরবানির বাকি আর মাত্র তিন দিন। কিন্তু এখনও বিকিকিনি তেমন জমে উঠেনি। তবে কক্সবাজার সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট খরুলিয়া বাজার, টেকনাফ পৌর পশুর বাজার, টেকনাফ পাইলট হাই স্কুলের মাঠের কোরবানির পশুর বাজার, ইলিশিয়া পশুর বাজার, ঈদগাঁও কোরনানি পশুর বাজারে তুলনামূলকভাবে বিক্রি হয়েছে। এসব বাজারে পাইকারি হারেও বিক্রি হচ্ছে গরু।

এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার একমাত্র কোরবানির পশুর বাজার খুরুশকুল রাস্তার মাথার বাজারটি। এই বাজারে শনিবার থেকে পশু উঠতে শুরু করেছে। তবে তেমন বিক্রি হয়নি।

খুরুশকুলের ওই বাজারে গরু নিয়ে আসা আমানুল হক বাবুল বলেন, শনিবার থেকে এই হাট শুরু হয়েছে। এখানে প্রথম দিনেই আশানুরূপ পশু উঠেছে। তবে সে হারে বিক্রি হয়নি। তবে অনেক ক্রেতা ঘুরে ঘুরে বাজার পরিস্থিতি দেখছেন। কেউ কেউ আবার দর-দাম কষাকষিও করছেন।

টেকনাফের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট টেকনাফ পাইলট হাই স্কুলের মাঠ। শুক্রবার এই বাজারটিতে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়। এই বাজারে স্থানীয় পশুর পাশাপাশি মিয়ানমারের গরুর আধিপত্য বেশি দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই জমজমাট বাজারটি। তবে ক্রেতার সমাগম বেশি হলেও এখনো তেমন বিক্রি হয়নি। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, রোববার থেকে বিক্রির ধুম পড়বে।

এ বিষয়ে গরু ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ মনির বলেন, দেশি ও মিয়ানমারের পশু রয়েছে টেকনাফের হাটে। বিক্রেতার অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে ক্রেতাদের।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বাজারে কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ২০টি মেডিকেল টিম ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড.একে.এম. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি বাজারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বিভিন্ন ব্যাংকের সহযোগিতায় পুলিশ জাল নোট সনাক্তকরণ গুরুত্বপূর্ণ হাটে মেশিন বসিয়েছে। পাশাপাশি বিক্রেতারা যাতে টাকা পয়সা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে সড়কের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় ৫৭টি পশুর হাট বসেছে। সেখানকার বিকিকিনির পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...