প্রকাশিত: ১৩/০৬/২০২০ ৩:৩৬ পিএম , আপডেট: ১৩/০৬/২০২০ ৫:৪৯ পিএম

প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলাভূমি প্রিয় কক্সবাজার জেলা এখন করোনার থাবায় জর্জরিত। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া কভিড১৯ টেস্ট, এই পর্যন্ত (১২/৬/২০) কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে টেস্ট করা হয় ১০৩৬৭(দশ হাজার তিনশত সাতষট্টি) টি, যা চট্টগ্রাম বিভাগের ২ য়। এখানে মোট রোগী সনাক্ত করা হয় ১৫৬৫, যার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ১৩৪৩ জন, বাকি গুলি, রোহিঙ্গা, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার। দিনে হিসেবে সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোনো সেন্টারের তুলনায় আমরা এখন সর্বোচ্চ। তারপর ও মন নিজের কাছে সন্তোষ্ট নয় কারণ আমরা অনেক গুলো স্যাম্পল জমা থাকায় কারণে নিয়মিত টেস্ট করে রোগীর কাছে যথা সময়ে রিপোর্ট দিতে পারছি না। আমাদের কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের কিছু দায়িত্ব আছে, যা নোয়াখালী কিংবা ফেনী জেলার জনগণ ইতিমধ্যেই পালন করে যাচ্ছে। কক্সবাজারবাসী যে পালন করছেন না, তা বললে ভুল হবে।
#করোনা জেলা কমিটির উদ্যোগে স্থানীয় ভাবে, সাধারণ জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে যে লক ডাউন পালন করা হচ্ছে তার ফল আমরা ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছি। যেমন,
৮/৬/২০ এ ৪৭৭ টেস্ট এ পজিটিভ ছিল ১২৬,
৯/৬/২০ এ ৪৭৮ টেস্ট এ পজিটিভ ছিল ১১৮
১০/৬/২০ এ ৫৮৬ টেস্ট এ পজিটিভ ছিল ৯৮
১১/৬/২০ এ ৪৩৩ টেস্ট এ পজিটিভ ছিল ৬৯ এবং
১২/৬/২০ এ ৪৩৩ টেস্ট এ পজিটিভ ছিল ৪২
কিন্তু আমাদের আরও দায়িত্ব পালন করতে হবে, ফেনী ও নোয়াখালীর মত আমাদের স্থানীয় পর্যায়ে করোনা রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য HFNC (High Flow nasal Cannula) যা দিয়ে উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন দেয়া যায়, তা যোগাড় করা লাগবে।
#করোনার সব রোগীর হাসপাতাল দরকার নাই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুযায়ী মাত্র ২০% এর দরকার, যদি আমাদের ১৩৫০ ধরি তাদের মাত্র ২৭০ জনের হাসপাতাল দরকার৷ বাকি ১০০০ এর ও বেশি রোগীর বাসায় আলাদা থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য দরকার, গ্রাম বা ওয়ার্ড ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক। প্রতি ১০ জন রোগীর জন্য যদি ১ জন স্বেচ্ছাসেবক করা হয় তাহলে ১০০০ এর মাত্র ১০০ জন দরকার পুরো জেলায়।
#তাদের কাজ কি হবে?
১.মোবাইল বা অন্যকোন ভাবে দিনে কমপক্ষে ১ বার রোগীর খুঁজ খবর নিবে, রোগীর ভাল মন্দ জেনে, নিদ্রিষ্ট ডাক্তার কে অবহিত করা
২. রোগীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যগনদের সরকারি নিদ্রিষ্ট ফরম যাকে কন্টাক্ট ট্রেসিং ফরম বা সংস্পর্শ চিহ্নিত করন ফরম বলে টা পুরন করা।
৩. রোগীর বাড়ি যেহেতু লকডাউন থাকবে, তাদের পরিবারের সদস্যগন বের হতে পারবেন না, তাই তাদের দৈনন্দিন বাজার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া।
৪. একইসাথে এলাকায় অন্য কোন রোগী করোনা উপসর্গ দেখা দিলে, সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কে অবহিত করা, একে বলা হয় ট্রেকিং।
করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণের সুত্র ৪ টি ট্রেকিং, ট্রেসিং টেস্টিং ও ট্রিটিং।
৫. সামাজিক দূরত্ব, সঠিক নিয়মে মাক্স পরাও অন্যান্য বার্তা গুলি পৌঁছে দেয়া।
৬. উপসর্গবিহীন টেস্ট দিলে শুধু ল্যাবের বুঝা বাড়বে না, সাথে মারাত্বক উপসর্গ যুক্ত রোগীরা যথাসময়ে রিপোর্ট পাবে না। তাই সে ব্যাপারে জনগন কে বুঝানো।

তাহলে কেবল রোগ নিয়ন্ত্রণ করে কক্সবাজার কে করোনা মুক্ত করা সম্ভব।

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

ডাঃ মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির
সহকারী অধ্যাপক
সংক্রামক রোগ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন।
১৩/৬/২০

পাঠকের মতামত

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...

একটি ফুল—

একটি ফুল, একটি ফুলের জন্যে কতো নিষ্পাপ গাছ প্রাণ হারালো, এই বর্বর শুকোনের দল বারংবার ...