প্রকাশিত: ২০/১১/২০২০ ৯:২১ পিএম

কক্সবাজার শহরের কলাতলীর সি ক্লাসিক রিসোর্টের আটতলার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রলীগকর্মী সোহাগ বাবু শেখের (১৯) মৃত্যু হয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

কক্সবাজার থেকে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাড়িতে সোহাগের মরদেহ পৌঁছায়। এ সময় পরিবারে শোক নেমে আসে।

এদিকে, এটি হত্যা দাবি করে এর প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সোহাগের পরিবার ও এলাকাবাসী। সোহাগ টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের মোনায়েম খান খানসুর ছোট ছেলে।

নিহতের বাবা বলেন, ‘সোহাগরা ৫৩ জন বন্ধু একসঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। এটা আত্মহত্যা না। গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে দ্বীপ আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই।’

নিহতের ভাই নাছির বলেন, ‘ঘটনার আগে সোহাগ বড় ভাইয়ের কাছে ৬০০ টাকা চায়। বড় ভাই বিকেলে টাকা দিতে চাইলে সোহাগ তাকে জরুরি পাঠাতে বলে। তা না হলে দ্বীপ মারবে বলে সোহাগ জানায়। কিন্তু টাকা পাঠানোর পরও সোহাগকে মারধর করে। দ্বীপ-ই আমার ভাইকে হত্যা করেছে।’

অভিযুক্ত দ্বীপের মা শাহীনারা বলেন, ‘আমরা পারিবারিকভাগে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা থাকতাম আলাদা ভবনে। ৬০০ টাকার জন্য আমার ছেলে চাপ দেয়নি। আমার ছেলের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।’ তদন্ত করে সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।

বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে সোহাগের ফুফু রানু সুলতানা বলেন, দ্বীপের আর সোহাগের পরিবার একই এলাকার। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হত্যার বিচার দাবি করেন তিনি।

টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের সভাপতি মীর ওয়াছেদুল হক তানজিল বলেন, দ্বীপ ও সোহাগ দুজনই শহর ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।

সোহাগের লাশের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কামরুজ্জামান মামুন বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন তিনি।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...