প্রকাশিত: ২৯/১০/২০১৮ ৮:০০ পিএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারে বিএনপি জামায়াতের ১৪৯ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। তবে মামলায় উল্লেখিত ঘটনাটি ‘গায়েবী’ বলে দাবি করেছেন বিএনপি-জামায়াত ২৮ অক্টোবর কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন চন্দ্র মজুমদার এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৮৪। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা রয়েছে আরো ১৩০ জন। মামলায় মোস্তাক আহমদ নামের একজন গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি সদরের পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য।

এজাহারনামী অন্যান্য আসামীরা হচ্ছেন- কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান জামায়াত নেতা শহিদুল আলম বাহাদুর, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মো. আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রিপন, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমুর রহমান ফাহিম, যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুল আলম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দিন মনির, জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম হাসান, শ্রমিক নেতা এমইউ বাহাদুর, সাবেক শিবির নেতা হাসান মো. ইয়াছিন, কাতার প্রবাসী লায়েক ইবনে ফাজেল, সাবেক ছাত্রদল নেতা সরওয়ার রোমন, মহিউদ্দিন সিকদার, শহর ছাত্র দলের সভাপতি এনামুল হক এনাম, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, সদরের খরুলিয়ার তারেক বিন মোকতার, আয়াত উল্লাহ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, ২৮ অক্টোবর সকালে ৪.৫০ টার সময় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন সংগঠিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস এলাকায় মিছিল বের করে সরকার বিরোধী শ্লোগান দেয়। এ সময় তারা একটি টমটমে অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা পালিয়ে যায়। ওই সময় একজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

ওসি আরো জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত নাশকতামূলক কর্মকা- ঘটিয়েছে। তাদের আরো পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল পুলিশের দায়ের করা মামলাটি ‘সাজানো’ দাবী করে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। তারা চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে ‘বায়বীয়’ ঘটনা দেখিয়ে ‘গায়েবী মামলা’র পথ বেছে নিয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামীদের অধিকাংশ ঘটনাস্থলে থাকা তো দূরের কথা, তারা কক্সবাজারের বাইরে রয়েছে। রাশেদ মো. আলী অসুস্থ পিতার চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যস্ত। ৫ নং আসামী লায়েক ইবনে ফাজেল কাতারে থাকে অনেক দিন। এতেই প্রমাণিত হয় মামলটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও বিরোধী শক্তিকে দমনের জন্য করা হয়েছে।মামলাটি প্রত্যাহার দাবি করেছেন লুৎফুর রহমান কাজল। সুত্র : সিবিএন

পাঠকের মতামত