প্রকাশিত: ০৯/০৮/২০২২ ৯:৫৩ এএম

বিশেষ প্রতিবেদক ::

কক্সবাজারে দিনে দিনে লোডশেডিং বেড়েই চলছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটছে শহরবাসীর। আর এতে জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে অসন্তোষ। কিন্তু তবুও লোডশেডিং কমাতে সরকারের ৮ টি নির্দেশনা মানছেনা কেউ।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ৮ টি নির্দেশনা রয়েছে। এগুলো হলো সরকারি অফিস আদালতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া, রাত ৮ টার পর পর দোকানপাট, শপিংমল, মার্কেট, বিপণী বিতান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি বন্ধ রাখা, মসজিদ, শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এসি’র তাপমাত্র ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর উপরে রাখা, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত দপ্তরসহ দোকানপাট, শপিংমল, বিপণী বিতান, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজিগ্যাস স্টেশনসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ভবনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে অপ্রয়োজনে বাতি ও এসির ব্যবহার না করা, পিক আওয়ারে বৈদ্যুতিক বিলবোর্ড বন্ধ রাখা, ইজিবাইক, অটোরিক্সা ইত্যাদি অবৈধভাবে চার্জিং বন্ধ করা এবং রাত ১১ টার পর চার্জিং করা, সিএনজি পাম্পসমূহ বিকাল ৫.০০ টা থেকে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত বন্ধ এবং আলোকসজ্জা না করা । তবে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না জেলায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরে ৮ টায় কোন দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ হয়না। ফলের দোকান ও রেস্তোরায় ব্যবহৃত হচেছ অতিরিক্ত বাল্ব। বিকেল ৫ টা থেকে ব্যাংক, বীমা, হোটেল মোটেল ও রেস্তোরা হাসপাতাল এবং শপিংমলে সাইনবোর্ড সহ জ্বলে অতিরিক্ত বাল্ব। এসব দেখার যেন কেউ নাই।

এবিষয়ে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির কক্সবাজার জেলা সদস্য সচিব কলিম উল্লাহ বলেন, কোন এলাকায় কখন কখন লোডশেডিং হবে সেটি আগে জানানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ তা মানছেনা। দুই ঘন্টা লোডশেডিং দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলে কক্সবাজারে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছেনা। প্রতিরাতেই কমপক্ষে ৩ বার বিদ্যুৎ চলে যায়।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের ৮ টি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগই মানছে না কেউ। বাস্তবায়নে রয়েছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা । দায়সারভাবে মাইকিং করেই তারা তাদের কার্যক্রম শেষ করছে। ফলে বিদ্যুৎহীনতায় ভোগান্তি বাড়ছে।

তবে কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। শহরের প্রায় সব জায়গাতেই গাড়ি যোগাযোগে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন দিয়েও প্রচারণা চালানো হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়েও একদিন সকলকেই সাবধান করা হয়েছে। তবুও অনেকেই সরকারি নির্দেশনা মানছেননা।

তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আজকালের মধ্যেই প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ মাঠে নামবে

পাঠকের মতামত

পুলিশ থেকে বাঁচতে জীবনটাই দিলেন সিএনজিচালক

গ্রামের চন্দনাইশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে ...

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চলন্ত সিএনজিতে সিলিন্ডার বি’স্ফোরণ, চালক নিহত

চট্টগ্রাম – কক্সবাজার সড়কে চন্দনাইশ এলাকায় চলন্ত সিএনজি অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুনে দগ্ধ হয়ে ...