প্রকাশিত: ১৮/০১/২০১৮ ৭:৫৯ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৭:৫৬ এএম

নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বসতবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর জায়গা দখলে নিতে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় বসতবাড়ি মালিকের দেড় বছরের এক কন্যাশিশুকে আঁছড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় উভয়পক্ষের নারীসহ আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আঘাতপ্রাপ্ত ওই শিশু মারা যায়। এর আগে দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে একদল সন্ত্রাসী পৌরসভার পালাকাটা খোন্দকার পাড়ার কবির আহমদের বসতবাড়ির দখল নিতে গেলে দুইপক্ষে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, বিরোধীয় জায়গার দখল নিতে গিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে দুইদফা ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর প্রতিপক্ষ ফের বিরোধীয় জায়গার দখল নিতে গেলে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। মারা যাওয়া দেড় বছরের শিশুর নাম লুৎফুন্নাহার নওরীন। শিশুটি পৌরসভার পালাকাটা খোন্দকার পাড়ার কবির আহমদের কন্যা। সংঘর্ষে কবির আহমদের পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন, আরেক কন্যা সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার আলীম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেরী আক্তার (১৮), স্ত্রী ছায়েরা খাতুন (৩৭), কবির আহমদের বোন মুনতাহেরা বেগম (৪০) ও নিকটাত্মীয় মো. সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী রওশন আরা (৪৮)। তবে অপরপক্ষের আহতদের নাম তাৎ ণিকভাবে জানা যায়নি।

মারা যাওয়া শিশুর মা আহত ছায়েরা খাতুন অভিযোগ করেন, তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় বসতবাড়িটি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুঁড়িয়ে দেয় গত সোমবার বিকেলে। এর পর থেকে খোলা আকাশের নীচে তারা মানবেতর জীবন–যাপন করছিলেন। এই অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে স্থানীয় আবু তাহের ও তার একাধিক ভাই সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া বসতভিটে দখলে নিতে গেলে বাঁধা দেন তিনি (ছায়েরা খাতুন)। এ সময় তাঁর কোলে থাকা শিশুটিকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মাটিতে ছুঁড়ে মারে। এতে শিশুটি গুরুতর আহত হয়। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যায়।

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম রায় সরকার জানান, দুপুরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় উভয়প ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে শিশুটি আঘাত পায়। পরে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেওয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটি সুস্থ রয়েছে জানালে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে আবারো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী গতরাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘শিশুটির মৃত্যু নিয়ে দুইপক্ষের কাছ থেকে পরষ্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। তাই সঠিক কি কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে তা উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর পরেও শিশুটির অভিভাবকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...