প্রকাশিত: ২৮/০৩/২০২০ ৩:৪৯ পিএম

ইমাম খাইর, কক্সবাজার
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। এখানে আর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত মহিলা রোগীর আগে থেকেই এজমাসহ বিভিন্ন জটিল রোগ ছিলো। এসব রোগসহ করোনা রোগের সমন্বিত চিকিৎসা করা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

সরকারীভাবে ঢাকায় যে ১১ টি হাসপাতালকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে, তারমধ্যে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় শীর্ষে রয়েছে।

এদিকে, রোগীর ছেলে ও কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলাইমান হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে মুঠোফোনে জানান, ঢাকা থেকে আসা চিকিৎসকদের দেওয়া কিছু ওষুধ খাওয়ার পর তার মায়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুক্রবার দিবাগত রাত হতে অন্যান্য অসুখের সাথে প্রচন্ড ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো, তার মাকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্স অথবা সড়ক এ্যাম্বুলেন্সে করে শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৪ টার মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জেলার প্রথম করোনা রোগী মুসলিমা খাতুন চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মরহুম রশিদ আহমদের স্ত্রী। গত ১৩ মার্চ ওমরাহ শেষে সৌদি আরব থেকে তিনি দেশে ফিরেন। ১৮ মার্চ জ্বর, কাঁশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করার জন্য ২২ মার্চ ঢাকাস্থ আইইডিসিআরে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ২৪ মার্চ পাঠানো রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পজেটিভ আসে। গত ৪ দিন ধরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে তার চিকিৎসা করা হচ্ছিল।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...