প্রকাশিত: ২৮/১০/২০১৮ ৭:২৬ এএম

এম.এ আজিজ রাসেল::
শহরে অপরাধ দমনে সদর মডেল থানা পুলিশ সাড়াশি অভিযান শুরু করেছে। শনিবার সকাল থেকে গভীর রাত অবদি এই অভিযান চলে। অভিযানে কটেজ জোন ও লালদিঘির পাড়স্থ জুয়া-পতিতার ডিপো সাতকানিয়া বোডিং থেকে ২৮ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম। আটকৃতরা হলেন, মোঃ ইউনুস, দরবেশ আলী আরমান, মোহাম্মদ সিদ্দিক, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোঃ রফিক উল্লাহ, মোঃ মফিজ উদ্দিন, মোঃ আবুল আলা রোমান, নিযামত উল্লাহ, মোহাম্মদ ফারুক, মোঃ ইউনুস, মোহাম্মদ হাশেম, মোঃ আব্দুল করিম, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, শাহ নেওয়াজ, আবদুর রহমান, মাস্টার আবসার কামাল, মোঃ আবুর কালাম, নুরুল আলম, মোঃ শাকিল, মোঃ রুবেল হোসাইন, মোঃ শাহাজাহান, মোঃ মফিজুল আলম, মোঃ হেলাল উদ্দিন, নুরুজ্জামান সোহেল, মোঃ আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল হক।

জেলা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, পর্যটন নগরীর আইনশৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে যানজট নিরসন, মাদক, জুয়া, পতিতা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অচিরেই শহরের প্রধান সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। শনিবার লালদিঘির পাড় থেকে ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্পের দু’পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা, ঝুঁপড়ি দোকান, অবৈধ পার্কিং সরিয়ে নেয়া হবে। মাদক, জুয়া ও পতিতা মুক্ত পর্যটন শহর গড়ে তুলতে চিহ্নিত করা হয়েছে একাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজ। ওইসব হোটেলে প্রতিদিন পরিচালিত হবে অভিযান। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া ছিনতাই ও ডাকাতি বন্ধে একাধিক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা মতে স্পর্শকাতর পয়েন্ট ও বিভিন্ন এলাকার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে শহরজুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশী টহল। পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবিদুল ইসলাম (সদর মডেল থানা), সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার, ওসি (তদন্ত) কামরুল আজম, ওসি (অপারেশন) মাইন উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। শহর ছাড়াও অন্যান্য উপজেলাও একই পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ জন্য স্ব স্ব থানার অফিসার ইনচার্জদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এ জন্য কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ। কোন অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না।

পাঠকের মতামত

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ৫৯ সেনা-বিজিপি সদস্য

আরাকান আর্মির হামলার মুখে ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যরা পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্ত ফাঁড়ির ...