প্রকাশিত: ১১/১০/২০১৯ ৩:৫৮ পিএম

যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছে যুবলীগ। প্রধানমন্ত্রী ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে যা সিদ্ধান্ত নিবেন তাই যুবলীগ মেনে নেবে। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভা শেষে যুবলীগ নেতারা বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরীর যুবলীগে থাকা না থাকা কিংবা তাকে যুবলীগে রাখা না রাখা নিয়ে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় সেটি নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় কঙ্গগ্রেসের আগে আজকের এই প্রেডিয়াম সদস্যদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না ওমর ফারুক। তার অনুপস্থিতিতে অবাক হন অনেকে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। উপস্থিত রয়েছেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরণ, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জি. নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দীপু প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রাজধানীতে মাদক-ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে গ্রেফতার হন যুবলীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। এসব নেতার সঙ্গে যুবলীগ নেতার সখ্যের তথ্য উঠে আসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তার মদদে রাজধানীতে অনেক যুবলীগ নেতা ক্যাসিনো ব্যবসা করেন বলে অভিযোগ উঠে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগও উঠে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ওমর ফারুক চেৌধুীরর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। তলব করা হয় ব্যাংক হিসাব। এর পর থেকে রাজনীতি থেকে অনেকটাই আড়ালে চলে যান ওমর ফারুক। তার এসব অভিযোগের বিষয়ে আজকের সভায় আলোচনা হয়। সভা শেষে যুবলীগ নেতারা বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাঠকের মতামত

পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ

‘ঈদ এসেছে দুনিয়াতে শিরনি বেহেশতী/দুষমনে আজ গলায় গলায় পাতালো ভাই দোস্তি’- জাতীয় কবি কাজী নজরুল ...