প্রকাশিত: ০৬/০৫/২০১৯ ৭:১৯ এএম
ফাইল ছবি

আজ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), দাখিল এবং এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ২০১৯-এর ফল প্রকাশ করা হবে। গত ২ ফেব্রুয়ারি ’১৯ এ পরীক্ষা শুরু হয়। তত্ত্বীয় বা লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২৫ মার্চ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ৪ মার্চ সাধারণ ৮ বোর্ডে। আর মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষা চলে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং চলে ৬ মার্চ পর্যন্ত। অপর দিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার রীতি অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিতেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এরপর দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষামন্ত্রী বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় এবার শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফল তুলে দেবেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির হাতে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানগণ ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন। এর পরপরই একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করবেন। দুপুর ১২টায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটে ফলাফলের কপি উন্মুক্ত করা হবে। একই সময় শিক্ষা বোর্ডগুলো তাদের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফলের কপি নিজ নিজ ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করবে। মোবাইল ফোনের সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানাতে শুরু করবে এর পরপরই।

যেভাবে জানা যাবে ফলাফল : এসএসসি ও সমমানের ফল জানতে যেকোনো মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে এসএসসি লিখে বোর্ডের প্রথম তিনটি অক্ষর টাইপ করে রোল নম্বর ও সন লিখে ১৬২২২তে পাঠাতে হবে। ফিরতি মেসেজেই ফল জানা যাবে। উদাহরণস্বরূপ message option-SSC <2019> লিখে 16222 এ send করুন। এর জন্য চার্জ প্রযোজ্য হবে ২.৪৪ টাকা। এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট http://www.educationboardresults.gov.bd থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল ডাউনলোড করতে হবে। বোর্ড থেকে ফলাফলের কোনো মুদ্রিত কপি সরবরাহ করা হবে না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর থেকে ফলাফলের মুদ্রিত কপি সংগ্রহ করা যাবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্রে জানা গেছে। সাব-কমিটি সূত্র জানায়, মোবাইলের মেসেজ অপশন ছাড়াও বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটগুলোতে বিনামূল্যে বা বিনা ফি-তে ফলাফল জানা যাবে এবং ফল ডাউনলোড করা যাবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক গতকাল বিকেলে নয়া দিগন্তকে বলেন, আগের নিয়মেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় আমরা বোর্ড চেয়ারম্যানরা এবার শিক্ষামন্ত্রীর হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবো।
আটটি সাধারণ বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে এবার ২০১৯ সালের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। এ মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৪ জন। মানোন্নয়নের জন্য পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩ হাজার ৩৪২ জন।
এর মধ্যে আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৭ লাখ ১০২ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ৩ লাখ ১০ হাজার এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে (ভোকেশনাল) এক লাখ ২৫ হাজার ৫৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

ফল পুনঃনিরীক্ষা আবেদন আগামীকাল থেকে : প্রকাশিতব্য ফলে কোনো পরীক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হলে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করতে পারবে। এ জন্য টেলিটক থেকে আগামীকাল ৭ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে বলে গতকাল নয়া দিগন্তকে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।

ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যেসব বিষয়ের দু’টি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, সেসব বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দু’টি পত্রের জন্য মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে ‘কমা’ দিয়ে লিখতে হবে।

পাঠকের মতামত

নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, এখন বিসিএস ক্যাডার

গল্প-আড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়জীবনটা উপভোগের সুযোগ আবদুল মোত্তালিবের হয়নি। দুপুর গড়ালেই তাঁকে ছুটতে হতো কাজে। অসচ্ছলতার কারণে ...